রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন তৃতীয়দফা পিছিয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর বৃহ¯প্রতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিকে আওয়ামী লীগ এবার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন নেতৃত্ব দেখতে চাই সেই লক্ষ্য নিয়েই সম্মেলনের প্রস্তুত্তি চলছে। বিশেষ করে টেন্ডারবাজী-দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী, দখলবাজী, মাদক স্পট, আবাশিক হোটেল বে-সারকারী ক্লিনিক, শহরের ফুটপাত, টার্মিনাল-স্ট্যান্ড, বালুমহাল, হাট-ঘাট বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী ও তদ্বির বাণিজ্য, দলের পদ বাণিজ্য, দল ব্যবসা, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান, দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিরোধীতা করে পৃথক বলয় সৃষ্টির নামে দলীয়কোন্দ্বল সৃষ্টি করে ঘরের মধ্যে ঘর-মশারীর মধ্যে মশারী টাঙ্গিয়েছে ইত্যাদি এমন অভিযোগে অভিযুক্তরা যেনো কোনো ভাবেই দলের সাংগঠনিক কোনো পদে আসনে না পারে আমলনামা আলোচনায় সেই বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর আমলনামা বিশ্লেষণ করে নেতৃত্ব দেয়া হলে পদ প্রত্যাশীদের অনেকে অবিবেচিত হবে সাংগঠনিক কোনো দায়িত্বে আশার সুযোগই থাকবে না।
অন্যদিকে পদ প্রত্যাশীদের আমলনামা নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গন ও নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মূখে মূখে। আমলনামার সব চাইতে বেশি আলোচিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পদ প্রত্যাশীর ভূমিকা ছিল কি ? সেটা নিয়ে। এসব নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করে তারা যেনো কোনো ভাবেই দলের সাংগঠনিক পদে আসতে না পারে সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দলের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত, এসব নির্বাচনে পদ প্রত্যাশী অনেকের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ এমনকি দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগও রয়েছে। আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযানের কারণে এবারের সম্মেলনে এরা কোনো ভাবেই সাংগঠনিক কোনো পদে আসতে পারবে না এটা প্রায় নিশ্চিত। যদিও আবার কেউ কেউ জেলার সভাপতি পদে বর্তমান সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ আসতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তবে তাদের সংখ্যা উল্লেখ্য যোগ্য নয় বলে অভিমত তৃণমূলের।
অন্যদিকে আমলনামা আলোচনায় পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী তার ধারে কাছেও নেই পদ প্রত্যাশীদের কেউ। কারণ এমপি ফারুক কখানোই দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী করে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি, কখানো কোনো সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সমালোচনা ও মিথ্যাচার করেননি, আর চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী-দখলবাজী বা অনৈতিক কোনো কর্মকান্ডের তো প্রশ্নই আসে না। এসব বিবেচনায় সভাপতি পদে বিশ¯ত্ত, আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নীতিনির্ধারক মহল ও তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো তার বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি তাই তার কোনো বিকল্প নাই তিনিই ফের সভাপতি হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগীয় শহর ও এক সময়ে জামায়াত-বিএনপির দূর্গ বা আঁতুড় ঘর। এখানে আওয়ামী লীগের মতো বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে গেলে সেই নেতার যেই ধরনের পারিবারিক ঐতিহ্য-সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্চ্ছালতা, জনবল বা কর্মীবাহিনী, রাজনৈতিক দূরর্শীতা, আদর্শিক ও বিশ্বস্ততা ইত্যাদি প্রয়োজন সেটা কেবলমাত্র এমপি ফারুক চৌধূরীরই রয়েছে।
এদিকে তৃণমূলের ভাষ্য, সাধারণ সম্পাদক পদে চতুরমূখী লড়াই হবার সম্ভবনা রয়েছে, যুগ্ম-সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল, সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বাগমারা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও সাংসদ প্রকৌশলী এনামুল হকের মধ্যে তীব্র প্রতিদন্দিতা হবার সম্ভবনা রয়েছে। #
তানোর প্রতিনিধি