সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও শহীদ পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। এক কথায় সোনার চামচ মূখে নিয়ে সম্ভ্রান্ত, সমৃদ্ধ উচ্চ বিত্তশীল জমিদার মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তার পিতা প্রয়াত শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী, চাচা শহীদ মুকবুল হক চৌধূরী এবং মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা। এছাড়াও তার অনেক নিকট আতœীয়-স্বজন দেশের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করে শহীদ হয়েছেন। এসব বিবেচনায় দলের নীতিনির্ধারক মহল এমপি ফারুক চৌধূরীর ওপরই ফের আস্থা-ভরসা ও বিশ্বাস রেখে জেলার সভাপতি হিসেবে তার ওপর দায়িত্ব অর্পন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন বঈছে। এছাড়াও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব এখানো গড়ে উঠেনি তাই তিনিই আবারো জেলার সভাপতি থাকছেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে দেশ স্বাধীনের পর এখন পর্যন্ত যতো নেতা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে সব চাইতে উচ্চ বিত্তশীল ও সমৃদ্ধ পরিবারের সন্তান এমপি ফারুক চৌধূরী। তিনি শুধুমাত্র পৈতৃক সূত্রে যেই পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন সেই সম্পদ তার দশ প্রজন্ম খেয়ে শেষ করতে পারবেন না। অনেকে যখন রাজনীতিতে এসে ব্যবসায়ী হয়েছেন তখন এমপি ফারুক চৌধূরী সিআইপি মর্যাদা অর্জন করে প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি থেকে রাজনীতি শুরু করেছেন। ফলে তার অর্থলিপসা না থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনের অধিকাংশ নেতার থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার আলাদা পরিচয় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, রয়েছে পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ রাজনৈতিক অঙ্গনের সকলে তাকে সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি হিসেবেই জানেন। আবার তার অর্থলিপসা না থাকায় তিনি রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন ও দালালমুক্ত প্রশাসন এবং সহাবস্থানের রাজনীতি উপহার দিয়ে এই জনপদের মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন এমপি ফারুকের থেকেও ব্যক্তি ফারুক চৌধূরী সাধারণ মানুষের কাছে আরো বেশি জনপ্রিয় ও প্রিয়মূখ হয়ে উঠেছে। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের আজকের যেই জয়জয়কার অবস্থান সেটিও তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও নেতৃত্বে তার হাত ধরেই হয়েছে সেই অবদানের কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগে আশার আগের ও পরের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই এই সত্য সকলের কাছে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, বিগত ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের সব প্রটৌকল উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফারুক চৌধূরীকে আওয়ামী লীগে যোগদান করান। এর পর তাকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ, সভাপতি করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে পাঁচ বার দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। রাজনীতিতে আশার আগেই এমপি ফারুক সিআইপি মর্যাদা অর্জন করেন, হয়েছেন রাজশাহীর প্রথম সর্বোচ্চ স্বচ্ছ আয়কর দাতা ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। এছাড়াও তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হয়ে রাজশাহী আওয়ামী লীগকে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি তিন বার সংসদ সদস্য ও একবার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তিনি কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাস্ট্রপতি ও বৃক্ষরোপণে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই তাকে সিলেকশনের (বিশেষ পচ্ছন্দ) মাধ্যমে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে। তাহলে একজন নেতার প্রতি দলের সভাপতির কি পরিমাণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকলেই কেবল মাত্র একজন নেতাকে এতোগুলো দায়িত্ব দিয়ে এভাবে সম্মানিত করা হয় সেটি মকলের গভীরভাবে পর্যবেক্ষন বা উপলব্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি দলের নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি বিশস্ত আদর্শিক নেতৃত্ব, কারণ রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে অধিকাংশ নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থীর বিপক্ষে এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামলেও একমাত্র ফারুক চৌধূরী বঙ্গবন্ধু কন্যা ও দলের সঙ্গে বেঈমানি না করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে থেকে ভোট করেছিলেন। এমপি ফারুক চৌধূরী তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আঁতুড়ঘর এখন আওয়ামী লীগের বসতঘরে পরিণত করেছেন। দেশ স্বাধীনের পর এই প্রথম তানোরের ৭টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে এবং ২টি পৌরসভার একটি বিজয়ী অন্যটিতে বির্তকিত ফলাফল ঘোষণায় বিএনপি বিজয়ী হয়েছে। অপরদিকে গোদাগাড়ী উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ২টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। তৃৃণমূলের অভিমত, এসব বিবেচনায় জামায়াত-বিএনপির আঁতুড় ঘর বা দূর্গ তানোর-গোদাগাড়ীর রাজনীতির রিমোর্ট এখন এমপি ফারুকের হাতে রয়েছে তিনি জনমত জরিপ ও জনপ্রিয়তায় অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। আবার দলের নীতিনির্ধারক মহল এসব পর্যালোচনা করে ফের এমপি ফারুক চৌধূরীর ওপর আস্থা রেখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তৃণমূলে আলোচনা রয়েছে।