রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
ফেসবুকে গুলি করার লাইভ ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে উত্তাল হয়ে উঠে হংকং। অবশ্য আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটির পুলিশ বলছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুলি চালানো হয়নি। কিন্তু এই বিবৃতি প্রত্যাখান করে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তারা নানান স্থানে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। জবাবে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। লাঠিচার্জের সাথে চলে গণগ্রেপ্তার। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ১১ বছরের শিশুও। বিবিসি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, সিএনএন
হংকং এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হংকং-এ চলমান সহিংসতা অঞ্চলটিকে এমন এক স্থানে নিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে ফিরে আসার কোনও সুযোগ নিই। তিনি বলেনে, ‘আমার মনে প্রশ্ন আসছে, এই শহরে কি আমরা কি নিরাপদে বসবাস করতে পারবো?’ ২১ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারীকে পুলিশ সরাসরি গুলি করার পর হংকং বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে
উঠলে তিনি এই মন্তব্য করেন। শুধু গুলিই নয়, বিক্ষোভকারীরা এক ব্যক্তির গায়ে জ্বালানি তেল ঢেলে তাকে জীবিত অবস্থায় জ্বালিয়ে দেন। এটিকে ভয়াবহ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন লাম।গুলি চালানোর পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছে, হংকং এর জনগন বুলেট চায়না, সংলাপ চায়। তিনি বলেছেন, চীন শাসিত অঞ্চলটিতে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে সরকার। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান। নিন্দা জানিয়েছে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। তারা বলছে, এভাবে প্রকাশ্যে গুলি করা অবশ্যই অবৈধ। এদিকে গুলির ঘটনার পর বিক্ষোভ দমাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। টিয়ার গ্যাস আর জলকামান ব্যবহার করেও বিক্ষোভকারীদের ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকদের ধারণা এমটি চলতে থাকলে চীন ও তার সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইতে পারে ক্যারি লাম সরকার।