শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পর মুহূর্তেই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে দেখা যায়।
ভিডিওটিতে থাকা পুরুষ ব্যক্তিটিকে বিভিন্ন মহল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলে প্রচার করলেও আসলে সেটি তিনি নন।
তার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটিকে প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পঙ্কজ দেবনাথ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যে প্রচার হচ্ছে, সেটি অপপ্রচার।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তো নতুন না। এর আগেও আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। এবারও যা হচ্ছে সেটিও ওই ধারবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ।’
পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, এটাকে আমি তেমন কোনো বিষয় মনে করি না। কারন বিষয়টির কোনো সতত্য নেই। যদিও আমি ভিডিওটি বা ভাইরাল হওয়া বিষয়টি এখনো দেখিনি। তবে আমার পরিবার আমাকে এটা শিক্ষা দেয়নি।
এদিকে সময়ের কণ্ঠস্বরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোরশেদ আলম ভুলু। তবে যে নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় সেটি তার সাবেক স্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি তিন বছরের আগের ঘটনা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মানহানির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
মুঠোফোনে সময়ের কণ্ঠস্বরকে ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজনীতি করি এমপি মহোদয়ের সঙ্গে। তার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করি, এতে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হোন। আমার দলেরই কিছু প্রতিপক্ষ আছে যারা গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে ভিডিওটি ছড়াচ্ছে। শুধু আমাকেই নয়, এমপি মহোদয়কে নিয়েও ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, “ঘটনাচক্রে খালেদা নামের ওই নারীকে বিয়ে করেছিলাম। পরে জানতে পারি মেয়েটির চরিত্র ভালো না। তাই তাকে তালাক দেয়ার কথা বলি। এ কারনে সেই সময় কেউ হয়তো গোপনে আমাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ওই ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে সেই সময় ওই ভিডিওটি প্রথমবার কোন একটি পক্ষ প্রকাশ করে। তবে স্থানীয় মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকলের উপস্থিতিতে খোলা তালাকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর সে তারমতো চলে গেছে, আমি আমার মতো আছি।”
আওয়ামী লীগের এই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সময়ের কণ্ঠস্বরকে আরও বলেন, আগামী মাসের শুরুতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, সেই নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। এমন সময় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।