সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর পিতা শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী ও চাচা মকবুল হক চৌধূরী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করায় তাদের পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী রাঁতের আঁধারে ধরে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সেই শহীদ আজিজুল হক চৌধূরীকে শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার আঙ্খ্যা দিয়ে একটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে ফের অপপ্রচার শুরু করেছে। সচেতন মহলের অভিমত, রাজাকারের সজ্ঞা কি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সাধারণ মানুষের সম্পদ লুন্ঠন, ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তি জবর দখল, হত্যা,খুন-ধর্ষণ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন ইত্যাদি অপরাধ অপকর্ম করেছে তারাই রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী। এখন প্রশ্ন হলো শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী কি এসব কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, কেউ তার বিরুদ্ধে এসব অপকর্মের একটি উদাহারণ দিতে পারবেন পারবেন না তিনি যদি রাজাকার হন তাহলে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী তাকে কেনো নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল ? অথচ এমন কোনো সুনিদ্রস্ট তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই এমন সম্মানিত মানুষের মানহানি করে কি বিবেচনায় একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ করা হলো ? সূত্র জানায়, প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার বিবৃতির বরাত দিয়ে ওই খবর প্রকাশ হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা বিবৃতি দিয়েছে বেশ ভাল কথা তাহলে এক জন মুক্তিযোদ্ধাও কি শহীদ আজিজুল হক চৌধূরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর একটি সুনিদ্রিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিতে পেরেছে না পারেনি ? অথবা শান্তি কমিটির কোন তালিকায় তার নাম রয়েছে সেই তালিকার সুনিদ্রিষ্ট তথ্য জানাতে পেরেছে না সেটাও পারেনি। তাহলে কিভাবে তাকে রাজাকার বলা হলো এটি কি শুধু কথার কথা নয়। আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্বমানবতার অগ্রদূত, বিশ্বের দ্বিতীয় সৎ এবং সেরা রাজনৈক নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী বিশেষ পচ্ছন্দের ব্যক্তি বলে এমপি ফারুক চৌধূরীকে সিলেকশানের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী যদি সিলেকশনের মাধ্যমে কাউকে নেতৃত্ব দেয় তাহলে বুঝতে তার ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। তাদের কথায় তাহলে কি ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর এরাই সঠিক ? আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তখন এরা কেনো জানালো না এমপি ফারুক চৌধূরী রাজাকারের পুত্র তাকে জেলার সভাপতি করা যাবে না। অথচ এমপি ফারুক চৌধূরী নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের আঁতুড় ঘর (রাজশাহী) তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসতঘরে পরিণত করা হয়েছে ঠিক তখনই এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে একের পর এক প্রগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে এতে কি আওয়ামী লীগের ভাল হচ্ছে,যদি তাদের অভিযোগ সঠিক হয় তাহলেও তো সেটা দলীয় ফোরামে আলোচনার কথা, কিšত্ত সেটা না করে তারা কেনো বার বার এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে ও গণমাধ্যমে এসব ভিত্তিহীন মানহানিকর প্রগান্ডা ছড়াচ্ছে। এমপি ফারুক চৌধূরী প্রায় ২৪ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন আর এতোদিন পর মনে হলো এমপি ফারুক রাজাকার পুত্র. আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী, ফ্রিডম পার্টি ও বিএনপির নেতা ইত্যাদি। অথচ এমপি ফারুক ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে বেরিয়ে এসেছেন আর ১৯৮৭ সালে রাজশাহীতে ফ্রিডম পার্টির আবির্ভাব ঘটেছে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কিভাবে ফ্রিডম পার্টির নেতা ছিলেন। আবার তাকে বিএনপির নেতা বলেও প্রচার করা হচ্ছে তাহলে তিনি ফ্রিডম পার্টি ও বিএনপির কোন পদে ছিলেন সেটা উল্লেখ করা হোক। এদিকে প্রায় দু’যুগ পর এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে কোনো সুনিদ্রিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ প্রগান্ডা ছড়ানোয় সাধারণ মানুষ মনে করছেন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তার সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে এসব অপপ্রচার করছে।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে তিন বারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি, সিআইপি, রাজশাহীর সর্বোচ্চ স্বচ্ছ আয়কর দাতা, শহীদ পরিবারের সন্তান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে. বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পদক অর্জনকারী, আদর্শীক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব বিলাস-প্রচার বিমূখ, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি, কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক তথা গণমানুষের নেতা সবার প্রিয় আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী এমপির বিরুদ্ধে ফের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের বিপদগামী কতিপয় নেতার নেপথ্যে মদদে গড়ে উঠা একটি অশুভ সিন্ডিকেট চক্র যেকোনো মূল্য এমপি ফারুককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে আওয়ামী লীগকে সাংগঠানিকভাবে দুর্বল করে তারা নেতৃত্ব আশার স্বপ্ন দেখছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, জেলা সভাপতিতে জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, তৃণমূলে পদবাণিজ্য ইত্যাদি করে আসছে। কিšত্ত এমপি ফারুক চৌধূরীর অকৈধ অর্থলিপসা না থাকায় তিনি সভাপতি হবার পরে চক্রটি এসব করতে পারছেন না। আর এসব কারণেই তারা এমপি ফারুককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে এসব অপপ্রচার করছে। এছাড়াও বিশ্বের দ্বিতীয় সৎ ও সেরা রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের একক ক্ষমতা বলে দলের সব প্রটৌকল ভেঙ্গে এমপি ফারুক চৌধূরীকে আওয়ামী যোগদান করিয়েছেন, তিন বার এমপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি করেছেন, একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রী করেছেন তাহলে দলের সভাপতি যেই মানুষটিকে এতোভাবে সম্মানিত করেছেন। তাহলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ তিনিই তো রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরই প্রতিনিধি, এখন প্রশ্ন হলো যারা এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে তারা তো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই অপপ্রচার করছে বিষয়টি তায় নয় কি। আবার এই মানুষটির বিরুদ্ধে যারা এসব অপপ্রচার করছে তারা নিজেরা কি ? আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এসব প্রশ্ন এই জনপদের সাধারণ মানুষের উঠেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।