বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
আলিফ হোসেন,তানোর
রাজশাহীতে ২৫ নভেম্বর ঐতিহাসিক বাবলাবন গণহত্যা দিবস স্মরণে বিশাল সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর সোমবার রাজশাহী সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে (প্রেসক্লাব চত্ত্বর) জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঐতিহাসিক বাবলাবন গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী এবং প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট প্রশান্ত কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুড়্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল, রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য গোলাম সারওয়ার, সভাপতি রাজশাহী মহানগর সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, শহীদ আলতাফ পরিবারের সদস্য মাসুদুর রহমান রিংকু, সহ-সভাপতি রাজশাহী প্রেসক্লাব আবু সালে মো, ফাত্তাহ, সহ-সভাপতি জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহানগর জাতীয় পার্টি সালা উদ্দিন মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি রাশেদ রিপন প্রমূখ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার, রিশিকুল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম টুলু এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বর্তমান রাজশাহী সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিবারকে পার্শ্ববর্তী দেশে রেখে আশায় পাক সেনারা ক্ষুব্ধ হয়ে আজিজুল হক চৌধূরীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দেশের জন্য তিনি জীবন উৎস্বর্গ করে শহীদ হয়েছেন। যারা শহীদ পরিবারের সন্তানকে রাজাকার বলে তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। বক্তাগণ আরো বলেন, বিভক্তি কখানো শক্তি সঞ্চয় করে না শক্তি ক্ষয় করে তাই যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে দলে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে তাদের চিহ্নিত করে ছুড়ে ফেলতে হবে। তারা বলেন, দেশে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়েছে তেমন ভাবে রাজকারদের তালিকা প্রকাশ করা হলে অনেক আওয়ামী লীগ নেতার রাজনীতি করা হতো না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে জনতার রোষাণল থেকে বাঁচতে রাজশাহী শহরে এসে আশ্রয় নিয়ে এখন অনেকে রাজশাহীর মানুষকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। যার নিজের পরিবারের কোনো ইতিহাস নাই সেই এখন অন্যর পরিবারের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করছে, সময় এসেছে এখন রাজশাহীর মানুষের কাঠগড়ায় এদের দাঁড়াতে হবে. জবাব দিতে হবে এসব মিথ্যাচারের। এদিকে সাংসদ প্রকৌশলী এনামুল হককে অনুপ্রবেশকারী আঙ্খ্যা দিয়ে তার সমালোচনা করে অনেক নেতা বক্তব্য রাখেন। এর আগে জননেতা আতাউর রহমানের জীবনী ও বাবলাবন গণহত্যা নিয়ে বিসদ আলোচনা করা হয়। #
তানোর প্রতিনিধি