মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
সেই অনূর্ধ্ব-১৭’তে থাকা অবস্থায়ই নজর কেড়েছিলেন দ্রুতগতির হাসান মাহমুদ। কিন্তু ইনজুরি পথে বাঁধা হয়ে দাড়ানোয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আর খেলা হয়নি। মানে যুব বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি লক্ষ্মীপুরের এ দ্রুত গতির বোলার।
তাতে কি! ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ২০১৯ সালের বিপিএলে বল হাতে সুযোগ পেয়েই নজর কাড়েন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভাল বোলিং করে উইকেট দখল করেন। ইঙ্গিত দেন ভাল কিছু করার। তখনই মনে হচ্ছিল হাসান মাহমুদ অনেক দুর এগিয়ে যাবেন।
সেই বোলিং সাফল্যই তাকে নিয়ে যায় পাকিস্তানে। জাতীয় দলের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তার প্রতিভার স্ফুরণ ঘটেছে অনেকটাই। নির্বাচকরা এবার তার ওপর পুরো আস্থা রাখতে সক্ষম হলেন।
এ কারণেই এবার জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে স্কোয়াডে হাসান মাহমুদ। আর আট-দশটা ক্রিকেটারের মত তারও স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অনেক খুশি লক্ষ্মীপুরের এ ২১ বছর বয়সী দ্রুত গতির বোলার। স্বপ্ন পূরনের আনন্দে রোমাঞ্চিত হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে চান।
এ কারণেই মুখে এমন কথা, ‘যেদিন থেকে খেলা শুরু করেছিলাম, সেদিন থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল। এখন সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লক্ষ্যটা কি? জবাবে হাসান মাহমুদের ব্যাখ্যা, ‘লক্ষ্য অবশ্যই ভালো করার। নিজের সেরাটা দেওয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের সেরাটাই দিতে হবে। এটা দিয়েই তো আমার ক্যারিয়ার শুরু হবে।’
হাসান মাহমুদ শুরু থেকে ধারাবাহিক থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তার উপলব্ধি, দলে টিকে থাকার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো ধারাবাহিকভাবে ভাল বোলিং করা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যে সুযোগটা আছে, সেটা কাজে লাগানো খুবই দরকার। সে জন্য সবার দোয়া লাগবে ইনশাআল্লাহ।’
সিনিয়রদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার চেষ্টা হাসান মাহমুদের। তার অনুভব, ‘সিনিয়রদের অনুপ্রেরনা সব সময়ই কাজ করে। দেশীয় ক্রিকেটারই হোক বা বিদেশী ক্রিকেটারই হোক। সবাইকে দেখে দেখেই এতটুকু আগানো। আর এখন তো অবশ্যই যেহেতু আছি, সিনিয়রদের দেখেই অনুপ্রাণিত হই।’