শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে মারা গেছে ১০৮ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৭৮ জন। তাদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।
এছাড়া তারা দাবি করেছে যে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ২৮১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আর চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে অন্তত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ জন।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে অধিকাংশ দেশ।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে বিশেষজ্ঞ তদন্ত দল পাঠিয়েছে। সোমবার সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানোম বলেন, ‘চীনে কখনও ভ্রমণ করেননি এমন মানুষের মধ্যেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারটি উদ্বেগজনক। আর এটা ‘কেবল শুরু’ হতে পারে। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার জন্য স্ব দেশকে করোনা ভাইরাসের জন্য তৈরি থাকতে হবে। এর অর্থ হল, দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা তৈরি রাখা, বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা যা জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে লাগবে।’
টেড্রোস বলেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা ধীরগতিতে দেখা যাচ্ছে। তবে তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেগুলোকে যদি কোনভাবে লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে এই ভাইরাস জয়ী হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, হংকং ও ফিলিপাইনের ৪ নাগরিক এতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য হুবেই প্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চীন। ওই অঞ্চলের সঙ্গে চীনসহ বাইরের দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা