রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
আনোয়ার হোসেন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : তারিখ-২৩.১১.১৯ইং
সরকার সম্প্রতি বাইরের কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করেছে।ফলে গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম সারাদেশে কমতে শুরু করলেও এখনও কুড়িগ্রামে পেঁয়াজের দাম অনেক চরা হওয়ায় ক্রেতা সাধারণ ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা বন্ধ রেখেছেন। জেলার ৯ উপজেলায় নতুন পাতা পেঁয়াজের আবাদ হলেও বাজারে দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। ইতোমধ্যেই এ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করলেও এখনও বাজারে পেঁয়াজের দাম চরা হওয়ায় বিক্রেতারা খুশি হলেও ক্রেতারা অত্যন্ত ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাছাড়া টিসিবির স্বল্প মূল্যে বিক্রি করা পেঁয়াজও কুড়িগ্রামে দৃশ্যমান নেই। ফলে অনেকেই পেঁয়াজের চরামূল্যের কারনে সমস্যায় পড়েছেন।জেলা শহরের জিয়া বাজার ও পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল শনিবার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২শ থেকে ২২০টাকায়। আর নতুন পাতাওয়ালা পেঁয়াজ বাজারে বেশ নামলেও সেগুলো বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকা দরে। তবে ক্রেতারা দুষছেন বাজার মনিটরিং না থাকাকে। জেলায় বাজার মনিটরিং এ লোক দেখানো ব্যবস্থাপনায় আছে বলে অভিযোগ। এদিকে, ক্রেতাদের অনেকের অভিযোগ, বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করা হলেও এর দাম কমের প্রভাব কুড়িগ্রামে মোটেও পড়েনি। জেলা কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে তালুক কালোয়া গ্রামে অনেক পাতা পেঁয়াজ আবাদ করেছে কৃষকরা। কৃষকরা এখনও পুরোপুরি এ পেঁয়াজ ঘরে না তুললেও তারা ভালো দামের আশায় কচি পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। এতে অনেক ক্রেতা অসন্তুষ্ট। কারন নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও তার দাম কমছেনা। জিয়া বাজার এলাকার কুলসুল খাতুন নামে এক গৃহিণী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামের বাজারগুলোতে ২শ থেকে আড়াইশ টাকা দরে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আমরা গরিব শ্রেণির মানুষরা কোথায় যাব ? পেঁয়াজের বাজার ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াসমিন জানান, আমরা রীতিমত ঁেপয়াজের মূল্য মনিটর করছি। যাতে কেউ অযথা দাম বাড়াতে না পারে তা দেখা হচ্ছে। এদিকে, কুড়িগ্রামের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সরকারের আমদানী করা পেঁয়াজ কুড়িগ্রামে এনে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির দাবি জানিয়েছেন।