রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলাকারী জঙ্গিদের ঠিকানা হিসেবে বারবার উঠে আসছে উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার নাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশাসনের উদাসীনতায় গাইবান্ধাকে ব্যবহার করে জঙ্গিরা। জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি সোচ্চার। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের তিনদহ গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আজাদুল কবিরাজ। বছর পাঁচ আগে স্ত্রী-সন্তানসহ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর খোঁজ মেলেনি তার। পরবর্তীতে কল্যাণপুরে জঙ্গি হামলায় প্রশিক্ষক হিসেবে নাম আসে জেএমবি সদস্য আজাদুলের। পরিবার ছেড়ে লাপাত্তা হওয়ার অনেক দিন পর হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় উঠে আসে জঙ্গিদের মাস্টার মাইন্ড গাইবান্ধার রাজিব গান্ধি ও তানভীর কাদেরীর নাম। এছাড়া রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যা, দিনাজপুরের মন্দির, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে হামলাসহ বেশ কিছু জঙ্গি হামলায় গাইবান্ধার জঙ্গিদের স¤পৃক্ততা পাওয়া যায়। সচেতন মহল বলেন প্রশাসনের ব্যর্থতাসহ নানা কারণে নদীভাঙন এলাকার সহজ সরল মানুষগুলোর মগজ ধোলাই করে জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমি হিসেবে গাইবান্ধাকে বেছে নেয়া হয়। চরাঞ্চলের মানুষ অনেক সহজ সরল। তাদের অতি সহজে ধর্মের কথা বলে বশে আনা যায়। গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, পলাতক জঙ্গি আজাদুল কবিরাজকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগের তুলনায় এখন অনেক সোচ্চার। এ ধরনের সংগঠন যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সে জন্য আমরা সরব আছি। গাইবান্ধার সাঘাটায় শ্বশুরবাড়ি থাকার সুযোগে জেএমবি নেতা বাংলা ভাই এ অঞ্চলে জঙ্গিবাদের বীজ বপন করেন। শায়খ আব্দুর রহমানের জামাতার বাবুর্চি থেকে উত্তরাঞ্চল নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার হয়ে জঙ্গি তৎপরতার পাশাপাশি নতুন নতুন জঙ্গি তৈরি করে গাইবান্ধার সাঘাটার রাজিব গান্ধি ও তার অনুসারীরা। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল্লার দলের প্রতিষ্ঠাতা মতিন মেহেদির বাড়িও গাইবান্ধা শহরের ব্রিজ রোড এলাকায়।