মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
স্ত্রী গর্ভবতী হয়েও গেলেও তাঁর সাথে সহবাস করা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ রাখা প্রয়োজন। যা গর্ভবতী মা ও আগত সন্তানের কোন ক্ষতি না করতে পারে। গর্ভ অবস্থায় সহবাস করার জন্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত আসনে পরিবর্তন করতে হয়। স্ত্রী গর্ভাবস্থায় কিভাবে নিরাপদ সহবাস বা যৌন মিলন করা যায় আমরা সেসব বিষয়াদি সম্পর্কে আলোচনা করব।
গর্ভাবস্থায় সহবাসের নিয়ম ও পরামর্শ
১. গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ৬ মাস সাবধানে মিলিত হওয়া বাঞ্চনীয়। তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
২. এই অবস্থায় নারীর শরীরে কাম ভাব প্রবল হয়। অতএব মিলনের প্রয়োজন হয়।
৩. এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মিলন প্রয়োজন।
৪. পাঁচ-ছয় মাসের গর্ভবতী নারীর যোনিতে পূর্ণ ইন্দিয় প্রবেশ করানো উচিত নয়। এসময় অত্যন্ত সতর্ক হতে হয়।
৫. সন্তান প্রসবের পর প্রায় দেড় মাস স্ত্রীকে সহবাস থেকে বিশ্রাম দিতে হয়। কারণ এসময় জননতন্ত্র অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। মিলনের ফলে প্রচুর রক্তপাত হতে পারে বা ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে।
৬. প্রসবের পর দুই মাস রতি বিরতির পর ডাক্তারের পরামর্শে আবার মিলন সম্ভব।
৭. নারী চিৎ হয়ে শুয়ে পা দু’টো লম্বা করে এক পাশে কাত হবে। অর্থাৎ ডান পাশে কাত হয়ে শুয়ে সামনা সামনি মিলন ঘটাতে হবে। এর ফলে পূর্ণ ইন্দ্রিয় প্রবেশ করবে না।
৮. সামনা সামনি বসে অর্থাৎ মুখোমুখি বসে দুজনে উরু ফাঁক করে তারপর যে মিলন, তাকে বৈজ্ঞানিকরা শ্রেষ্ঠ বা আদর্শ মিলন বলে থাকেন। কিন্তু ইন্দ্রিয় কখনোই সম্পূর্ণ প্রবিষ্ট হবে না। সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৯. দু’জনে পাশাপাশি কাত হয়ে শুয়ে পেছন থেকে পুরুষ বিহার করতে পারে। নিজের যোনিদেশে ইন্দ্রিয়ের প্রবেশ ঘটাবে।
১১. নারীর দু’টি জানুর মধ্যে পুরুষ সোজা দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে মিলিত হতে পারে।
১২. নারী দু’টি জানু ফাঁক করে চিৎ হয়েই শয়ন করবে কিন্তু পুরুষ তার দেহ নারীর নিতম্বের সঙ্গে সমকোণে রেখে পাশ ফিরে শুয়ে মিলিত হবে।