বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার রসমঞ্জুরী নামে এক মিষ্টি এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। দেখতে রসমালাইয়ের মতো হলেও প্রস্তুত প্রণালির কারণেই এর স্বাদ অনন্য। স্বাদ ও গুণে এই মিষ্টি গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্য। রসমঞ্জুরী জেলা নামে গাইবান্ধা পরিচিত লাভ করছে। স¤প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রকল্পের মাধ্যমে রসমঞ্জুরীকে জেলা ব্রান্ডডিং পণ্য করার সুপারিশ করা হয়েছে। ১৯৪০ সালে ব্যবসায়িকভাবে রসমঞ্জুরী তৈরী শুরু হয় গাইবান্ধায়। খুব অল্প সময়ে রসমঞ্জুরীর সুনাম ও পরিচিতি লাভ করে। তবে ১৯৫০ সালের দিকে রসমঞ্জুরীর সুনাম জেলার গন্ডি পেরিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম পাকিস্থানের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কেউ পূর্ব পাকিস্থানে আসলে এই রসমঞ্জুরীর স্বাদ তো নিতেনই, সঙ্গে করে নিয়ে যেতেও ভুলতেন না। রসমঞ্জুরীর শুরুটা শহরের মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক রাম মোহনের হাত ধরে। বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করছেন তার পরবর্তী বংশধর। মিষ্টান্ন ভান্ডার ম্যানেজার বলেন গাইবান্ধার এই মিষ্টি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এমনকি বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। তবে যেসব মিষ্টি বিদেশে যায় সেগুলো ফ্রিজিং করে পাঠানো হয়। জালমুক্ত হওয়ায় রসমঞ্জুরী খেয়ে খুশি স্থানীয়রা। রসমঞ্জুরী তৈরির উপকরণে রয়েছে গরুর খাঁটি দুধ, ছানা, চিনি ও ছোট এলাচ।