মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা একই পরিবারে ৫জন প্রতিবন্ধী থাকলেও ভাগ্যে জোটেনি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কোন সুযোগ সুবিধা। সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের রায়হান মিয়া। দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুই মেয়ে ও দুই ছেলেসহ তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। কিন্তু তিনি ছাড়া সবাই বাক প্রতিবন্ধী।এদের সবার সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র থাকলেও ভাগ্যে জোটেনি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কোন সুযোগ সুবিধা। ফলে ভুমিহীন রায়হানের একার রোজগারে এতো মানুষের মুখে অন্ন যোগাতে তিনি হিমসিম খাচ্ছেন। জানা যায়, রায়হান মিয়ার স্ত্রী একই গ্রামের আসকর আলীর বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে কলফী বেগম। একটি সুস্থ সন্তানের আশায় এই দ¤পতি এখন চারটি সন্তানের পিতা-মাতা। লিমা খাতুন (১৩), জাকিয়া খাতুন (১১), ওমর আলী (৯) ও এমরান আলী (৬)। কিন্তু তারা সবাই বাক প্রতিবন্ধী। অথচও তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভিজিডি, ভিজিএফ বা প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড। এছাড়া ওই উপজেলায় জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় তিন দফায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হলেও তাদের কপালে তা জোটেনি একটি ঘর। রায়হান মিয়া বলেন, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীর প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করার জন্য এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরণা দিয়েও কাজ হয়নি। তারা টাকা ছাড়া কোন ভাতার কার্ড করে দিবেন না। কিন্তু আমিতো অন্যের জমিতে দিন মজুরি করে সংসার চালায়। তাদেরকে টাকা দিব কিভাবে। টাকার অভাবে থাকার একটি ঘরও ঠিক করতে পারিনি। ভাঙ্গা ঘরে গাদাগাদি করে সকলেই বসবাস করি। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ধার দেনা করে ৬ হাজার টাকা ব্যয় করে বড় মেয়ে লিমার একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করতে পেরেছি। এ বিষয়ে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বি আব্দুল্যাহ রিয়ন বলেন প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড বরাদ্দ কম। তাই দেয়া সম্ভব হয়নি। আমার আগের চেয়ারম্যান তার বড় মেয়েকে একটি কার্ড করে দিয়েছেন। সুযোগ পেলে পরবর্তীতে ওদের ভাতার কার্ড করে দিবেন। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে তাদের ভাতার কার্ড করার ব্যবস্থা করা হবে।