শুক্রবার, ০৫ মার্চ ২০২১, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
বায়েজীদ (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধা জেলায় সাঘাটা উপজেলায় কুকড়ারহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ ধসে প্রায় সাড়ে ৩শ’ ফুট রাস্তা ভেঙে গেছে।
এর ফলে গাইবান্ধা জেলার সঙ্গে সাঘাটা উপজেলা সদরের সড়কে সব ধরণের যানবাহন ও পথচারী চলাচল টানা ১৯ দিন বন্ধ ছিলো। দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে একটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
হালকা যানবাহন, মানুষ চলাচল শুরু করলেও দুর্ভোগের শেষ নেই। এই ভাসমান সাকোঁতে। ব্যাপক জনদূর্ভোগ চলছে ভারী মালামাল পারাপারে।
এ সড়কের মাটি ধসে যাওয়ায় কোথাও কোথাও ৫০ ফুট থেকে ৬৫ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পানি ভরাট থাকায় নতুন করে সড়ক নির্মাণ দেরি হচ্ছে। চেষ্টা থাকলে সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুত সম্ভব নয়।
তাই, রাস্তার উপরেই একটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পানির ওপর বাঁশ পুঁতে সারিবদ্ধভাবে ড্রাম সাজিয়ে তার উপর বাঁশের তৈরী পাটাতন বসিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সড়কটি বন্ধ থাকায় গাইবান্ধা জেলা শহরের সঙ্গে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মানুষের সরাসরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ভাসমান সেতুর উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করা সম্ভব না হলেও সিএনজি, অটোরিক্সা, অটোবাইক ও পথচারি চলাচল করছে ।
অটোচালক হাসান বলেন, ‘জীবনের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি। একটা অটো উঠতে পারেনা, এমনকি একটা সাইকেল ওঠাতেও কষ্ট হয়। অনেক রিস্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়।’
অনুমতি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে আগামী দু’মাসের মধ্যে সড়ক সংস্কারের কথা জানায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক সংস্কার করা হবে, তখন ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বন্যার কারণে যে দুর্ভোগ পোহানোর কথা, তা হবেনা। আর, এই দিক দিয়ে তখন ৯০% যানবাহন চলাচল করবে।’
যোগাযোগের জন্য সাময়িক নয় স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা করার দাবি করছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।