রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। অভাব অনটন, মাদকে আসক্তি, পরকীয়া, শারীরিক অক্ষমতা এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতনকেই দায়ী করছে বিশেষজ্ঞরা। মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে এ প্রবণতা সবচাইতে বেশী। এছাড়া ফেসবুকে অনেকে পরকীয়ায় আসক্তি হয়ে ভাঙছে সংসার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী নি¤œবিত্ত পরিবারের যারা ঢাকায় রিকশা-ভ্যান চালান, গার্মেন্ট বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারাই বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গাইবান্ধায় বিবাহ বিচ্ছেদে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এছাড়াও সাংসারিক জীবনযাত্রা ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র এবং নি¤œবিত্ত পরিবারগুলো আয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না। ফলে দা¤পত্য কলহ থেকেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। মদ, জুয়ায় আসক্তি ও পুরুষ-নারীর শারীরিক অক্ষমতার কারণেও কোনো কোন ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন সাধারণত গাইবান্ধার বাইরে যারা চাকরি করতে যান, গার্মেন্টস, রাজমিস্ত্রী, রিকশাচালকরাই বিবাহ বিচ্ছেদে এগিয়ে রয়েছেন। খোলাহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া গ্রামের কাজী মিলন মিয়া বলেন পরকীয়ার কারণে অনেক বিয়ে বেশি দিন টিকছে না। পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ তালাক রেজিস্টার কাজী আব্দুল গফফার আকন্দ বলেন উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে এবং শহর এলাকায় তালাকের প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম। তবে গ্রামাঞ্চলে মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে বর্তমানে তালাকের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘরের সহকারী পরিদর্শক মোঃ মোসলেম উদ্দিন বলেন প্রধান ডাকঘরের আওতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে চিঠি আসা এবং বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করা চিঠির সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনও প্রতিদিন যথেষ্ট চিঠি আসে। সাধারণত ব্যক্তিগত চিঠি এখন আর আসে না। কেননা মোবাইলে যোগাযোগ, চিঠির চাইতে অনেক দ্রুত করা যায়। তবে তালাকের নোটিশ বেশি আসছে। প্রতিদিন গড়ে ডাকঘরে ২০ থেকে ২৫টি বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি আসে। উপজেলা ডাকঘর ও সাব-ডাকঘর মিলে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠির পরিমাণ গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি হবে। এ চিঠিগুলো মেয়েদের পক্ষ থেকেই বেশি আসছে।