বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জ। জেলার প্রাণকেন্দ্রে বয়ে গেছে মধুমতী নদী।
তারই সামনে আছে শেখ রাসেল পৌর পার্ক। লঞ্চঘাটের পাশে আছে গোপালগঞ্জ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য বিশাল আউটফিল্ড। পাশেই আছে অকেজো সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়াম। প্রায় ১০ একর জায়গায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা জেলার প্রধান স্টেডিয়াম শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। এত বছর পেরিয়ে গেলেও স্টেডিয়ামে জাতীয় পর্যায়ের কোনো ক্রিকেট ম্যাচই হয়নি। অথচ একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য যা যা প্রয়োজন সবই রয়েছে এখানে। রয়েছে ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড, উন্নত নিষ্কাশনব্যবস্থা, ফ্লাডলাইট সহ প্রায় ১০ হাজার বেশী দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারি। যদিও আন্তর্জাতিক ভেন্যু হওয়ার জন্য প্রয়োজন উন্নত আবাসনব্যবস্থা। যেটি গোপালগঞ্জ শহরে নেই বললেই চলে। হাতে গোনা যে হোটেলগুলো রয়েছে, কিন্তু সেগুলো অভিজাত নয়। তবুও এখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন গোপালগঞ্জবাসীর ক্রিকেটপ্রেমীরা।
আফসোস! এতবড় ক্রিকেট মাঠটি খেলার অনুপযোগী হয়ে আছে।পর্যাপ্ত পরিচর্যা নেই গোপালগঞ্জের প্রধান এই স্টেডিয়ামটি। তাই ধীরে ধীরে নষ্ট হতে বসেছে এর অবকাঠামো। এতে যেমন খেলোয়াড় উঠে আসছে না, তেমনি খেলার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে গোপালগঞ্জবাসী। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কতৃপক্ষ সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত স্টেডিয়ামটির সংস্কারসহ জাতীয় পর্যায়ের লিগ সহ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হোক এটাই চাওয়া ক্রিকেটপ্রেমীদের।
লেখক: সমাজকর্মী ও সংগঠক।