সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদেওয়া নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ির সদস্যদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেনআন্দোলনকারী নেতারা।
রবিবার (১০ নভেম্বর) কয়েকজন আন্দোলনকারী এই তথ্য জানান। তারা হলেন- চলমান আন্দোলনের সংগঠক ও ছাত্রইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক, দপ্তর সম্পাদক হাসান জামিল, কার্যকরি সদস্যরাকিবুল ইসলাম রনি ও মুশফিক উস সালেহিন।
এই বিষয়ে হাসান জামিল তার ফেসবুক পোষ্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, ‘গত কিছুদিনে বেশ কিছু ঘটলো। গতকালআমার বাসায় দুইবার পুলিশ গেল, প্রথমবার আমাকে না পেয়ে এলাকার মসজিদের মাইক ইউজ করে সামাজিকভাবেহেনস্তা করলো। আমার চোদ্দ গুষ্টি এমনকি আমার আপুর শশুরবাড়ির ডিটেইল সব কিছু নিয়ে গেল। তারপর আবারবাসায় ফোন দিয়ে থ্রেট করলো। মা অসুস্থ। পুলিশ বাসায় গিয়ে তারে থ্রেট করে। অথচ, এত মাস ধরে বলা বিচার বিভাগীয়তদন্ত আর হলো না।’
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিকবলেন, ‘আমার বাসায় পুলিশ গিয়েছে এবং নানা ধরনের তথ্য জানতে চেয়েছে। ফলে আমার পরিবার ভীতিসন্ত্রস্ত হয়েপড়েছে। রাষ্ট্র তদন্ত করতে চাইলে তার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু পুলিশ দ্বারা পরিবারকে এ ধরনের হয়রানিকে আমরা নিন্দাজানাই।
আন্দোলনের আরেকজন নেতা মুশফিক-উস-সালেহীন বলেন, ‘পুলিশ আমার নানা বাড়িতে যেয়ে আমার ব্যাপারে বিভিন্নতথ্য জানার চেষ্টা করেছে। ফলে আমার পরিবার এবং আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি। চলমান আন্দোলন যৌক্তিক কিযৌক্তিক না এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়।এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দোষী।
এ ব্যাপারে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘বিষয়টি হায়রানিমূলকও আতঙ্কজনক। পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সন্তানকে বাসায় ফিরিয়ে নেওয়ার চাপ দিচ্ছে। আন্দোলনকে দমন করারএটা একটা ঘৃণ্য পন্থা। পুলিশকে দিয়ে এটা করানো হচ্ছে। আমরা মনে করি এর পিছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনথাকতে পারে।’
বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা তো অনেক কিছুই দাবিকরে। তারা ক্যাম্পাসের আইন লঙ্ঘন করে মিছিল মিটিং করছে। তাদের গ্রামে কি হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানেনা।’