jahir
- ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ / ৪৯ জন দেখেছেন
জাবি প্রতিনিধি:
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে তৃতীয়দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট চলছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে রয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিকভবন এবং বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনের ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া পুরানোপ্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য ‘অপসারণ মঞ্চ’ করে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। অবরোধের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়েরকর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেজিস্টার ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অপসারণ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয়সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত সর্বাত্মক ধর্মঘট পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মহিবুর রৌফ শৈবালের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলেজানিয়েছেন হামলার শিকার নজির আমিন চৌধুরী জয়।
সকালে পুরাতন কলা অনুষদে তালা অপসারণ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।পরবর্তীতে তিনি নিজের বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর উপর হামলা করেন। যার একটিভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে সকালসাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষদ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহপ্রদিক্ষণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ‘তাদের উপরে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। উল্টো আন্দোলনকারীরা আমার উপর হামলা করেছে।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর উপর হামলার ব্যাপারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হানরাইন বলেন, ‘একজন সহকারী প্রক্টরের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার একটা ভিডিও দেখেআমরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। একজন শিক্ষক তার ছাত্রের উপর কিভাবে হামলা করতে পারে। এরকম মাস্তান শিক্ষকআমরা চাই না। একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের উপরে হামলা হতে পারে এটা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা।আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’