মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
টেকনাফে বিজিবির সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিলের সীমান্ত সীমান্ত নাফ নদীর পারো এই বন্দুক যুদ্ধপর ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানিয়েছে, এসময় ঘটনাস্থল হতে ৫০ হাজার ইয়াবা, ১টি অগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান জানান, নাফনদীর হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল সীমান্তে মিয়ানমার হতে ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল ওই স্থানে কৌশলে অবস্থান নেয়। এ সময় ৪-৫ জন ইয়াবা পাচারকারী নৌকা যোগে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের জল সীমার কিনারায় পৌঁছলে বিজিবির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় ২ পাচারকারী পালিয়ে গেলে বিজিবি জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করে এবং উঁৎপেতে থাকা ইয়াবা কারবারিরা অতর্কিতভাবে বিজিবির উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলাগুলির এক পর্যায়ে ৩ জন বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি বর্ষন করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮-১০ মিনিট গুলি বিনিময় ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ২ জন ব্যাক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আহত ২ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর পকেটে থাকা পরিচয়পত্র মতে তারা উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/৩ ব্লকের সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ আবুল হাশেম (২৫) ও একই ক্যাম্পের সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র নুর কামাল (১৯) বলে পরিচয় পাওয়া যায়।
বিজিবি জানায়, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ইয়াবা পাচার সহ যে কোন অপকর্মের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্ত প্রহরী বিজিবি জওয়ানরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্তে মাদক পাচারকারী ও চোরাচালান রোধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংঘটিত ঘটনায় টেকনাফ থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে