বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে চোরাপথে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়ানিক সার বাজারজাত করায় উপজেলার বিসিআইসি অনুমোদিত বৈধ সার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীগণ চরম বিপাকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এসব সার আসল-নকল না ভেজাল সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই অধিকাংশ কৃষকের। আর কৃষকের এই সরলতার সুযোগ ব্যবহার করে এরা ভেজাল ও নিম্নমাণের সারে এলাকা সয়লাব করে দিচ্ছেন বলেও অনেক সচেতন কৃষক মন্তব্য করেছে। জানা গেছে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট, মৌগাছী ও ধুরইল বাজার থেকে সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রতিদিন ট্রাক যোগে বিভিন্ন রকমের বিপুল পরিমাণ সার তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ সার বিপণন নীতিমালায় বলা আছে সারের সংকট দেখা না দিলে এক উপজেলার সার অন্য উপজেলায় বিক্রি করা যাবে না। এদিকে বাইরের এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন এভাবে সার আশায় তানোর উপজেলার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছে তাদের সার তেমন বিক্রি হচ্ছে না। উপজেলার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বাইরের এলাকা থেকে এভাবে চোরাপথে সার আসলে তাদের সার তারা কার কাছে বিক্রি করবেন, আবার সার বিক্রি করতে না পারলে তারা নিয়মিত সার উত্তোলন কিভাবে করবেন। তারা বাইরের উপজেলা থেকে সার আশা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অপরদিকে অধিকাংশক্ষেত্রে চোরাপথে আশা এসব সার নিম্নমাণের হলেও তাদের কোনো জবাবদীহী না থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার সার ব্যবসায়ী মেসার্স রহমান টেড্রার্স থেকে আবুল কাশেম ও মৌগাছী বাজারের মেসার্স আল-হেরা টেড্রার্সের আব্দুল আজিজ তাদের মনোনিত ব্যক্তির মাধ্যমে এসব সার এনে এলাকার কৃষকদের কাছে উচ্চ মূল্য কালোবাজারে বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে তানোরের অনুমোদিত সার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীগণ ব্যবসায়িক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ইউনুস আলী নামের এক ব্যক্তি মৌগাছী বাজারের মেসার্স আল-হেরা টেড্রার্স থেকে বিভিন্ন প্রকারের কয়েক ট্রাক সার এনে পাঁচন্দর ইউপির বিভিন্ন এলাকার আলুর প্রজেক্টে বিক্রি করেছে। এ সময় কৃষকরা তাদের হাতেনাতে আটক করলে তারা আর বিক্রি করবেন না মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছে। কৃষকরা জানান রবিউল নামের এক টাউটের নেপথ্যে মদদে ইউনুস আলী এভাবে কালোবাজারী করছে। এদিকে সরকার ডিএপি সারের দাম কমানোর ঘোষণা দিলেও মেসার্স আল-হেরা টেড্রার্স আগের দামেই ডিএপি সার বিক্রি করছে তবে ক্যাশ মোমোয় দাম লেখা হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌগাছী বাজারের মেসার্স আল-হেরা টেডার্সের আব্দুল আজিজ বলেন, দাম কমানোর কোনো কাগজ এখানো না আশায় তারা আগের দামেই ডিএপি সার বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, সার কিনে কৃষকরা কোথায় নিয়ে যাবে সেটার দেখার দায়িত্ব তার নয়। এব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।#