শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:০১ অপরাহ্ন
ইউসুফ আলী মন্ডল, নকলা প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নকলা সদর হইতে দক্ষিণ দিকে বয়ে গেছে চন্দ্রকোনা সড়ক। ১৯৮২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি সিএমবি সড়ক হিসেবে সাত কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করেন। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই জামালপুর শেরপুর নকলার প্রায় ৩৬টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। এছাড়াও কৃষি পণ্য উৎপাদনের ভান্ডার হিসেবে শেরপুর জামালপুরের চরাঞ্চল ও নকলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন জেলার মধ্যে বিখ্যাত। এখানে আলু, সরিষা, ধান, পাট, ভূট্টা, বেগুন, কাচা মরিচ, মিস্টি লাউ, কুমড়া, টমেটো ও কৃষির উৎপাদনের জেলার শতকরা ৬০ ভাগ এখান থেকেই পূরণ করা হয়। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ৮২ সালে নির্মাণ হলেও কয়েকবার শুধু ঘসামাজার কাজ হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি শেরপুর গত ৫ বছর আগে মেরামত ও সংস্কারের নামে ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্ধে ঘসা মাজা কাজ করেছিল। বর্তমানে সড়কটির ইট বালি খোয়া ও ভিটোমিন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে। বিগত ১৫ বছরে দূর্ঘটনা ঘটেছে ৩৬০ বার নিহত হয়েছেন ৩৬জন আহত হয়েছে ৫শতাধিক লোক। আদি কাল থেকেই চন্দ্রকোনা বিখ্যাত এখানে বর্তমানে রয়েছে দুটি কলেজ ৫টি হাইস্কুল, ৭টি মাদরাসা, ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাসপাতাল একটি কৃষি পণ্যের গোদাম একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র একটি কৃষি সেবা কেন্দ্র একটি টিএনটি অফিস এবং রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয় শতবর্ষের পুরানো স্কুল এবং ভিআইপিদের বসবাস ঐ ইউনিয়নে। ইউনিয়নের গুরত্ব থাকলেও সড়কের গুরুত্ব একেবারেই নেই। বিগত দু বছর যাবৎ রাস্তায় এমন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যাত্রীরা পরিবহন দিয়ে যাওয়ার সময়, পড়ে গিয়ে ছিটকে রাস্তার উপরে পড়ে যান। গত সপ্তাহে দুজন এসড়কেই মৃত্যু হয়েছে। অসংখ্য গর্তের কারণে সড়কটি একেবারেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চন্দ্রকোনা রাজলক্ষ্মীর অনুষ্ঠানে শত বর্ষ পূর্তি পালনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, যোগাযোগ সেতু সচিব, সাবেক কৃষি মন্ত্রী ও ভারতের কয়েকজন অতিথি চন্দ্রকোনা পৌছতে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চন্দ্রকোনা মোড় থেকে তুলসিরচর পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক দিগুন ব্যয় বরাদ্ধ করে নির্মাণ করলেও ১৬টি চরের মানুষ চন্দ্রকোনা পর্যন্ত এসেই আটকে পড়ছেন। সরকারের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা হিসেবে নকলা থেকে নাকুগাও বন্দর হয়ে শ্রীলংকা, ভারত নেপাল, ভূটান, যাতায়াতের আংশিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। হবে অর্থনৈতিক জোন। এবং বিদেশীদের জন্য রেষ্টহাউজ এই নকলায় নির্মাণ হবে। শেরপুর ঢাকা মহাসড়কটি দুই লেনে নির্মানের জন্য ৫শ ৬০ কোটি টাকা বরাদ্ধ পাশ হলেও এই সুদুর প্রসারী পরিকল্পনার স্বপ্ন সাধ ভোগ করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ১৬টি চর সহ এক লক্ষ লোক সরকারের নির্মাণ করা নতুন সড়কের উপর দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিদেশে যাতায়াত করার জন্য উদ্যোগী হলেও বিকল্প পরিকল্পনায় ৭ কিলোমিটার ঘুড়ে ট্রেন যোগে যাচ্ছেন ঢাকায়। তাতে করে যাত্রী সাধারণের ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। মাত্র দুটি ট্রেন জামালপুর থেকে ঢাকায় নির্ধারিত সময়ে যাতায়ত করে থাকে এই নকলা চন্দ্রকোনা সড়কটি নির্মাণ হলে যেখানে ১০ মিনিটেই নকলা সংযোগ পয়েন্টে এসে সরাসরি ঢাকা যেতে পারতেন যাত্রী সাধারণ। এখন দক্ষিন দিকে ৩টি ঘাট পাড় হয়ে দুটি নদী ও খাল পাড় হয়ে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে ঢাকা যেতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর দুঃখ আর কত কাল এই প্রশ্নই এখন এলজিইডির কাছে।