বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
সোমবার এক টুইটবার্তায় নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে আবারো সাফাই গাইলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
টুইটবার্তায় মোদি বলেন, দেশের সব মানুষকে আশ্বস্ত করে দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই যে, নাগরিকত্ব আইনের জন্য কোনো নাগরিকের ক্ষতি হবে না। তা তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন। এই আইন নিয়ে দেশের কোনো নাগরিকের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। দেশের বাইরে বছরের পর বছর ধরে যে মানুষগুলো নিগৃহীত হয়েছেন, যাদের ভারত ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাদের জন্যই এই আইন।
আরকেটি টুইটবার্তায় মোদি লিখেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করাকে আমরা চলতে দিতে পারিনা। যে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড চলছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যে দিয়ে সমাধানের পথ খোঁজাই আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য। সরকারের সম্পত্তি নষ্ট করে মানুষকে বিপদে ফেলা সঠিক পথ নয়।
বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। ১২ ডিসেম্বর রাতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হয়েছে বিতর্কিত বিলটি। এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। বিরোধীরা এই আইনকে ‘মুসলিমবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছে। চলছে দফায় দফায় আন্দোলন।
পশ্চিমবঙ্গে যেমন সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো তীব্র আন্দোলনে নেমে পড়েছে, তেমনই দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেই প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ লাঠি চালানোয় দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।