শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিসিকে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেড ফ্যাক্টরি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ। এছাড়া মডেল গার্মেন্টসও খুলছে।
ফকির নিটওয়্যার বিজ্ঞপ্তিতে স্বল্প পরিসরে কারখানা খোলা রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। এর পাশাপাশি শুধুমাত্র ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ভেতরে অবস্থানকৃত শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শনিবার ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির আক্তারুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিষ্ঠানের প্যাডে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেড এর সব শ্রমিকদের জানানো যাচ্ছে যে, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী জরুরি রফতানি আদেশের স্বার্থে রোববার থেকে বিজিএমইএ এর নিয়ম নীতি অনুযায়ী এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্তৃপক্ষ কারখানা স্বল্প পরিসরে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় বর্তমানে অবস্থানকৃত শ্রমিকদের সমন্বয়ে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরো উল্লেখ্য করা হয়, পরবর্তী বিজিএমইএ ও সরকারি নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের বাইরে অবস্থানকৃত শ্রমিকদের কারখানায় না আসার জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার বিষয়ে এরইমধ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন করা হয়।
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে এবং ক্রেতা দেশগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সীমিত আকারে নারায়ণগঞ্জসহ বিকেএমইএর অন্তর্ভুক্ত কারখানাগুলো খোলা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যেসব বায়াররা বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে অর্ডার দিয়ে থাকে, তারা একটি সার্কেলের মাধ্যমে অর্ডার দেয়। অর্থাৎ একটি মানসম্পন্ন কারখানায় অর্ডার করলে, সেই অর্ডারের পণ্য ৯০ দিনের মধ্যে বায়ারকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ওই বায়ার পণ্য সরবরাহ করার আগেই ওই কারখানাকে নতুন অর্ডার সরবরাহ করে। অর্থাৎ এমন সার্কেলের মাধ্যমে গার্মেন্টস কারখানাগুলো চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই আলোকে বর্তমানে মানসম্পন্ন গার্মেন্টসহ যারা দুর্বল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের হাতেও কমবেশি অর্ডার রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ দেশের পাঁচটি এলাকায় যেখানে শ্রমিক অধিষ্ঠিত বলে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়া এবং চট্টগ্রামে পাঁচটি করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।