বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
তিনি আরো বলেন, যে কাগজপত্র আছে সেটা দেখিয়ে উচ্চ আদালত নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমি যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, তাই মনে করি সর্বোচ্চ আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটাই মেনে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতের কাছে তারা জামিন চেয়েছিলেন, জামিনের দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ তারিখ আদালত বলেছিলেন, একটি মেডিকেল রিপোর্ট তাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য এবং সেই মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপন করার পরে সেটা বিবেচনা করবেন। আপিল বিভাগ এ মেডিকেল রিপোর্ট পড়েছেন এবং তারা তাদের বিবেচনায় দেখেছেন- এখানে চিকিৎসা করা যায়। তাই জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বিজ্ঞ আপিল বিভাগ।
তিনি বলেন, ৬ জন বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই যথেষ্ট বিবেচনা করেছেন। আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি সেটা আমাদের মানতে হবে। যে অবজারভেশন হয়েছে তার আলোকে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজের কিছু করণীয় থাকলে তারা নিশ্চয়ই তা করবে।
বিএনপি বলেছে- তারা (মেডিকেল বোর্ড) আদালতে যে রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে সেটি সঠিক নয় এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গত শুনানির প্রথম দিন তারা আদালত কক্ষে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। তখন বলেছিলাম, যেটা তাদের (বিএনপি) পক্ষে যায় না তখনই এমন কিছু করে তারা। তা যত যুক্তিযুক্ত থাকুক না কেন এটা ওনারা অভ্যাসগতভাবে বলেন ঠিক না। এক্ষেত্রে ৬ জন ডাক্তার পরীক্ষা করে তাদের মতামত দিয়েছে বলে শুনেছি। ডাক্তাররা প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং সেটা সর্বোচ্চ আদালতেও দিয়েছেন।