বায়েজীদ গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মজিববর্ষে সরকারের ঘোষণার অাওতায় গৃহহীন-ভূমিহীন ৬০ টি পরিবারের মাঝে পাকা ঘর , ঘরের চাবি এবং দলিল হস্তান্তর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার তুলে দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অালহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন।
২৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪৯২ টি উপজেলায় যুক্ত হয়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার তুলে দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্ম শতবার্ষিকীতে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ টি পরিবারের তালিকা করে তাদের ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে অাজ ২৩ জানুয়ারি শনিবার ৬৬ হাজার ১৮৯ ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিস্ট পাকা ঘর, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে অারও প্রায় এক লাখ পরিবারকে ঘর উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
শুধু ঘরই নয়, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এই পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অাশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অাওতায় ৪১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় তৈরি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩৮ টি ঘর।
দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকায় ৩৮ হাজার ৫৮৬ টি ঘর এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকায় ৩ হাজার ৬৫ টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। পৃথিবীতে এটি একটি অসাধারণ ঘটনা।
পৃথিবীতে একই সাথে এতগুলো পরিবারের পুনবার্সনের নজির অার নেই যা মুজিব কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন।
ভূমিহীন- গৃহহীনদের যে ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটিতে অাছে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং একটি লম্বা বারান্দা। এই ঘরের নকশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই পছন্দ করেছেন। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।
যদি জমি ও ঘরের হিসাব করা হয়, তাহলে একেকটি পরিবারের ঘরের মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ।