মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে কাজ করছে। পরিবেশের সাথে বন ও বন্যপ্রাণী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজ ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “মানুষ ও পৃথিবী বাঁচাতে” বন ও জীবিকা। আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি জানানো হয় বন্যপ্রাণী হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চালুর।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, “মানুষের যেমন জীবন আছে তেমনি বন্যপ্রাণীর ও জীবন আছে। পৃথিবীতে জীবন চলার জন্য বিভিন্ন রকম পেশা থাকলেও অনেকে অবাধে বন্য প্রাণী হত্যা করছে। এতে করে ইতোমধ্যে পৃথিবী থেকে অনেক প্রাণী হারিয়ে গেছে। মানব সভ্যতার উৎকর্ষতার সাথে সাথে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে সমাজ ও সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে টেকসই উন্নয়ন এর কোন বিকল্প নেই। যে কোন ধরনের প্রাণী বাঁচাতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। বন্যপ্রাণী হত্যায় প্রচলিত আইনে সামান্য জরিমানা ও জেল খাটার বিধান থাকলেও দুষ্কৃতকারীরা এর তোয়াক্কা করছে না। তাই আমরা দাবি জানাই অনতিবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চালু করা হোক। আগামী প্রজন্মের নিরাপদ পৃথিবী গড়তে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এর কোন বিকল্প নেই।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
১। বন্যপ্রাণী সহ যে কোন প্রাণী হত্যা সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চালু করা
২। বনের জায়গা ধ্বংস করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না এবং উন্নয়ন প্রকল্প সম্প্রসারণে বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না।
৩। সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও অন্যান্য প্রজাতিকে নিরাপদ করতে পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো ও ঘোরাঘুরিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
৪। মানুষের জীবিকা নির্বাহে বৃক্ষ কর্তন ও বন্যপ্রাণীর চামড়া, দাঁত ও অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করা বন্ধে পরিবেশ ও বন অধিদপ্তর কে সমন্বিত ভূমিকা পালন করতে হবে।
৬। বন্য প্রাণী হত্যা বন্ধ ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে “ইনভাইরনমেন্ট পুলিশ” বাহিনী তৈরি করতে হবে।
৭। বন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়াতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
৮। বন্যপ্রাণীর রাস্তা পারাপারে ইকো ব্রিজ কিংবা আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প চালু করতে হবে।
৯।পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।