মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
বেরোবি প্রতিনিধি:
বিভাগীয় প্রধান ছাড়াই চলছে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ। বিভাগীয় প্রধানের
মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস পার হলেও নতুন করে কাউকে নিয়োগ না
দেওয়ায় বিভাগের কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে
বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগ উঠেছে, ব্যাকডেটে স্বাক্ষর
করে এখনো গোপনে কিছু কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক বিভাগীয়
প্রধান।
জানাগেছে, বিভাগের সিনিয়রিটির ভিত্তিতে বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য
হতে তিন বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ হয়ে থাকেন।
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সর্বশেষ বিভাগের
বিভাগীয় প্রধান ছিলেন মো: শাহীনুর রহমান। গত ২১ অক্টোবর তার
দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান
হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর
ফারুক। এমনকি বিশ^বিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সাবেক বিভাগীয়
প্রধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই তার নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু
গত এক মাস পার হলেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ^বিদ্যালয়ের
উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের সাথে তার সখ্যতা এবং উপাচার্যের
সাথে ব্যক্তিগত বিরোধ থাকার কারনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না
বলে একটি সুত্র জানিয়েছে।
এদিকে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাউকে নিয়োগ না
দেওয়ায় বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারছে না।
ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অপরদিকে নিয়ম
বহির্ভূতভাবে সিনিয়রিটি ভঙ্গ করে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন
সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হতে পারে এমন
গুঞ্জন উঠেছে বিশ^বিদ্যালয়ের ৭৫ একর ক্যাম্পাস পাড়ায়।
এ ব্যাপারে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সাবেক
বিভাগীয় প্রধান শাহীনুর রহমান বলেন- বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, সাবেক
বিভাগীয় প্রধান নিয়ম বহির্ভুতভাবে ব্যাকডেটে স্বাক্ষর করে এখনো
কিছু কাজ করে চলেছেন। যা একজন শিক্ষকের জন্য নৈতিকতা বিরোধী।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রো-
ভিসি সরিফা সালোয়া ডিনার মুঠোফোনে ফোন করলে তারা কেউ
রিসিভ করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর
দপ্তরে গেলে দপ্তর সংশ্লিষ্টরা জনাান উপাচার্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।
কি কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেনি তাদের
কাছে। পরে উপাচার্যের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও
তিনি ফোন রিসিভ করেনি, মেজেস পাঠালেও তার ফিরতি কোন রিপ্লাই
পাওয়া যায়নি।