শুক্রবার, ০৫ মার্চ ২০২১, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
মনির হোসেন,বরিশাল ব্যুরো \ পত্রিকায় ও সামাজিক মাধ্যমে রির্পোট প্রকাশের পর আবশেষে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নলবুনিয়া খেয়াঘাট এলাকার বিষখালী নদীর ত্রাস নামে খ্যাত সেই সুমন খলিফার সিন্টেকেটের প্রধান( চাপা সুমন) গতকাল দুপুরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারের সুত্রধরে মা ইলিশ না ধরার পক্ষে অবস্থানে থাকা স্থানীয় সমাজ সেবক মো: নান্নু খলিফা(৫০)নামে একজন কে সুমনের ভাই সহ তার অনুসাররী ১০/১২জনে মিলে মরধর করে রক্তাক্ত যখম করে। আহত নান্নু খলিফা কে মুমুর্ষ আবস্থায় বরিশাল শে,বা.চি.ম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে নলছিটি উপজেলা প্রশাসন নলবুনিয়া খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে স্থানীয় বখাটে মো: সুমন খলিফা, জুরান,ইসমাইল সহ কতিপয় জেলেরা পরিকল্পিত ভাবে উপজেলা প্রসাশন কে ট্রলারে দেখে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।এসময় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো: কবির হোসেন খলিফা এবং আলমগীর হোসেন খলিফার সহায়তায় অল্পের জন্য রাক্ষা পায় থানা পুলিশসহ উপজেলা মস্য কর্মকর্তা।এ ঘটনায় মস্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় সুমন খলিফা প্রধান আসামী বলে থানাসূত্রে জানাগেছে।নলবুনিয়া ও পয়সাবুনিয়া এলাকায় সুমন খলিফার রাম রাজত্বে চলছিল ডিমওয়ালা ইলিশ শিকারের মহোৎসব। প্রশাসন টহল দিচ্ছে এমন খবরাখবর সুমনের মোবাইল ফোনের নির্দেশে নদীতে জাল নিয়ে নেমে পরতো জেলেরা এমনই অভিযোগ স্থানীয় জনসাধারনের।স্থানীয় জেলেদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, সুমন খলিফার নির্দেশে তার ভাই জাকির,বাবুল,তার সিন্ডিকেটের অনুসারী ইরান খলিফা,ইউনুছ খলিফা,ইসমাইল সহ নব্য আ’লীগ পরিচয়দানকারী পাতি নেতারা নৌকায় ট্রলারে দেশীয় অস্ত্র,লাটি সোটা,এবং ইটপাটকেল নিয়ে নদীতে মহরায় থাকতেন ।কোন প্রসাশন কিংবা পুলিশ আসলে নদীতে বসে জেলেদের সর্তর্ক করে দিত সুমন সিন্ডেকেট।ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটঁনার পরের দিন পুলিশ প্রসাশন কে ম্যানেজ করার জন্য স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে ১০০০/২০০০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে নলছিটি থানার এস,আই হুমাউন জানান,উপজেলা মস্য কর্মকর্তার মামলার আসামী সুমনকে দুপুরে নলবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রফতার করা হয়েছে।বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।