সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার থেকে : সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন এলাকায় ট্রলারডু’বির ঘটনায় ১৬ জনের লা’শ উ’দ্ধার করা হয়েছে। বিনা খরচে বিদেশে নিয়ে তাদের বিয়ে দেয়া হবে বলে সুন্দরী তরুণীদের ওই ট্রলারে তোলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে সেন্টমার্টিনের ছেঁ’ড়া দ্বীপের কাছে গভীর সমুদ্রে তাদের বহনকারী ট্র’লারটি ডু’বে যায়।
এ দু’র্ঘ’টনার পর জী’বিত অবস্থায় উ’দ্ধা’র করা হয়েছে অন্তত ৭৬ জনকে। বাকিদের উ’দ্ধা’রে অভি’যান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। ওই ট্রলারে ১২০ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। হ’তাহ’তের সংখ্যা আরও বাড়ার আ’শ’ঙ্কা রয়েছে বলে জানান উ’দ্ধা’রকারী দলের সদস্যরা। উ’দ্ধা’র হওয়াদের মধ্যে এক তরুণী জানান, তাদেরকে দীর্ঘদিন ধ’রে ক্যাম্পের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিনা খরচে বিদেশে নিয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য বলে আসছিল।
তাদের কথামতো পিতা-মাতা রাজি হওয়ার পর একাধিকবার যাওয়ার তারিখ পড়ে। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যার আগে তাকে ক্যাম্প থেকে বের করে পাশবর্তী একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে তার মতো আরও অনেকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য ওই ঘরে অবস্থান করছে। পরে রাত ১১টার দিকে ওই ঘর থেকে বের করে দালা’লচ’ক্র তাদের ট্রালারে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা নেতা ছৈয়দ উল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে বেশ কিছু দা’লাল স’ক্রি’য় রয়েছে। বাইরের কিছু দা’লা’লের সহযোগিতায় তারা রোহিঙ্গাদের নানা প্র’লো’ভ’ন দেখিয়ে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পা’চা’রের চে’ষ্টা চালায়। এ ঘটনায় টেকনাফ থানা পুলিশ তৎক্ষ’ণিক অ’ভিযা’ন চালিয়ে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মানব পাচা’রকারী দা’লাল আইয়ুব, রফিক ও সাদ্দাম নামে তিন দা’লা’লকে আ’ট’ক করেছে।
সূত্র জানায়, সোমবার রাতে টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের কয়েকটি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দা’লা’লরা মিলে ক্যাম্পের সুন্দরী তরুণীদের বিদেশে নিয়ে বিয়ে দেয়ার প্র’লো’ভন দেখিয়ে ক্যাম্প থেকে বের করে। পরে দা’লা’লের পরি’ক’ল্পনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপকে টেকনাফের বাহারছড়া দিয়ে ট্র’লারে তুলা হয়। পাশাপাশি পৃথক আরেকটি গ্রু’পকে তুলা হয় উখিয়-টেকনাফের মাঝামাঝি সমুদ্র তীরবর্তী স্থান থেকে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বলেন, প্রতি বছর শীতকাল আসলেই মা’নবপা’চার বেড়ে যায়। কারণ দা’লা’লরা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মান’বপা’চার শুরু করে। তবে সম্প্রতি সময়ে যারা এই কাজে পা দিয়েছে তারা সিং’হভাগেই রো’হিঙ্গা। মূলত স্থানীয় ও কিছু রোহিঙ্গা দা’লা’লরা নানা প্র’লো’ভন দিয়ে রোহিঙ্গাদের পা’চা’র করছে।