শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
মামুনুর রশিদ, জাবি প্রতিনিধি:
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। এবছর প্রায় তিন লক্ষ ষাট হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে ভর্তি পরীক্ষায়। শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত দ্বীপ জেলা ভোলার শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পরীক্ষা দিতে ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এর আগে ঢাকায় আসিনি, এবার প্রথম ঢাকা এসেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমার কেন্দ্র খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমি এখানে বিভিন্ন জেলার ব্যানার টানানো দেখে আমাদের ভোলা জেলার স্টল খুঁজতে ছিলাম তখন দেখি গেটের প্রথম দিকেই আমাদের জেলা সমিতির স্টল। এখানে আসার পর ভাই আপুরা আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।
সেখানে উপস্থিত অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি সময়ের অভাবে আমার জেলা সমিতি খুঁজে পাইনি তখন তাদের কাছে আমার কেন্দ্রের কথা জিজ্ঞাসা করলে আমাকে তারা কেন্দ্র দেখিয়ে দেন এবং আমার ব্যাগ ও মোবাইল রেখে আমার সহযোগিতা করেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আইন ও বিচার বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান (৪৫ ব্যাচ) বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময়টাতে আমাদের স্টুডেন্টদের জন্য অন্যতম আনন্দের বিষয় হচ্ছে টেন্ট এসে বসা। কারণ এখানে নিজের জেলা থেকে পরিচিত-অপরিচিত অনেক ছোট ভাই-বোন পরীক্ষা দিতে আসে যারা আমাদেরকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট একটা পরিচয়ে খুঁজে পেয়ে অনেকটা প্রশান্তি পায় এবং তাদেরকে সাহায্য করতে পেরে আমাদের নিজেদের মধ্যেও অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুন নবী (৪৭ ব্যাচ) বলেন, ভোলার পরিচিত মানুষদের সাহায্যের পাশাপাশি অপরিচিত মানুষদের সাথেও আলাপ হচ্ছে৷ এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী নানা কাজে তাদের পাশে থাকা, ফলাফল জানানো সর্বপরি মানুষের হাসিমুখ দেখতে ও বিপদে পাশে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পূজা মজুমদার (৪৭ ব্যাচ) বলেন, ভোলা থেকে যেই স্টুডেন্টগুলো পরীক্ষা দিতে অাসে তাদের থাকা, অভিভাবকদের বিশ্রাম, হল এবং পরীক্ষা কেন্দ্র চিনিয়ে দেওয়া সহ সব রকম সাহায্য করার যে চেষ্টাটুকু করতে পারছি এটাতে অাসলে অনেক ভালো লাগা অাছে। ভালো লাগে যে নিজের জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু হলেও করতে পারতেছি।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তাদের কার্যক্রম ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন পুরো সময় চালু থাকবে।