শুক্রবার, ০৫ মার্চ ২০২১, ০১:১১ অপরাহ্ন
উজ্জ্বল রায়■ সনাতনথধর্মে দেবী তুলসী মহারাণী হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। নমঃ তুলসী কৃষ্ণ তোমার স্মরণ লয় তাহার বাঞ্চা পঝর্ন হয় তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারণ করলে তিনটি জিনিস থেকে রক্ষা ব্রজর্পাত মৃত্যুর হাত থেকে রহ্মা। বিষ্ঠাঘাত থেকে রহ্মা যায়। সর্প ছোবল থেকে রহ্মা, যেমন যখন সাপের খেলা দেখাই তখন সাপুড়িয়ার হাতে একটা তুলসী কাঠের ডাল থাকে তুলসীর ডালের কারণে সর্প মাথা উচু করতে পারেনা। রাতে বা দিনে ঘোমানোর পর আমরা বাজে স্বপ্ন বা স্বপ্ন দেখি,যা দেখে আমাদের হাত পা কাপতে থাকে। যার ফলে প্যারালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেইটার হাত থেকেও রক্ষা। আরও অনেক উপকার। যদি তুলসীর মালা গলাই কোন ব্যক্তির মৃত্যু সে যদি ভক্ত নাও হয়ে থাকে তবুও তার নরকগামী হতে হবে না। যেমন কুকুরের গলায় যদি লাল ফিতে বাধা থাকে সেই কুকুরকে কিন্তুু কেউ মারতে পারে না তার কারণ তার গলায় লাল ফিতে বাধা আছে ,সে হচ্ছে পালিত কুকুর তার মালিক আছে। সেই কুকুরকে কেউ মারলে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা। আর পৌরসভার লোক জনও তাকে মারতে পারবে না। তাই যার গলায় তুলসী কাঠের মালা থাকে তাকে যমেও স্পর্শ করতে পারবে না, দূর থেকে সেই তুলসী মালা ধারিকে দেখে প্রণাম করে চলে যাবেন । তার কারণ সে ভগবানের ভক্ত তার নাম ভগবানের খাতাই লিখা গেছে। আর যদি তুলসীর মালা ধারণ করে পরে কৃষ্ণ কে ভুলে যায় তবুও তাকে নরকগামী হতে হবে না, তার সৎগতি হবে কিন্তুু পরের জন্মে ভগবান তাকে ভক্তে ঘরে জন্ম দিয়ে সুযোগ করে দিবে পাপ মুক্ত হইবার আর যদি তুলসীর মালা গলায় থাকে যদি প্রতিদিন স্নান করে সে মালার জলে স্পর্শে শরীর এমনি এমনি পবিত্র। আবার অনেকে বলে তুলসীর মালা গলায় ধারণ করলে মিথ্যা কথা বলা যাবে না। যদি তাই তাহলে তো শাস্ত্রে লিখা আছে মিথ্যা কথা বলাই মহাপাপ। তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারণ না করলে মিথ্যা কথা বলা যাবে এই কথাটি কোন শাস্ত্রগ্রন্থে লিখা আছে বলবেন কি ? তুলসী মালা ধারণ না করেও মিথ্যা বলা মহা পাপ হয়,তাহলে কোনটা ভাল? তুলসী মালা ধারণ করে মিথ্যা কথা বলায় ভালো,কারণ যেখানে আমি ১০০% মিথ্যা কথা বলতাম তখন তুলসী মহা-রাণীর কৃপাই অল্প অল্প করে মিথ্যা কথা কমতে থাকবে। আর এক আমি আর মিথ্যা কথা বলবো না তুলসী মহারানীর কৃপায় যদি তার মৃত্যু তাহলে তাকে আর নরকগামী হতে হবে না ও তার সৎ গতি হইবে। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন তুলসীর মালা ধারণ করে মাছ,মাংস,আমিষ খেলে মহাপাপ, হাঁ কথাটি সত্য কিন্তুু ভাগবতে ভগবান বলেছেন যে,আমার নাম,নামের আমার ভক্ত,ভক্তের ভক্তের চরণ ধূলি আরও,ভগবান তার ভক্তকে সব স উপরেই রেখেছে। যে শুদ্ধ ভক্ত ভগবানের নাম প্রচার করে,তার হাতের তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারণ করলে আপনার পাপ সেই শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে ভগবান পরিত্রাণ করে থাকে। মহাপাপি দুরাচারী ও যদি হয় ভগবান তাকেও ফেলে রাখেনা তারাও সৎগতি ভগবান করে থাকেন আর যদি সে ভক্তির পথে আসতে চায় আসুক তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারন করতে চায় করুক তাতে কোন অসুবিধা নাই । তাই আসুন আমরা ৮ বছর বয়স থেকে বাধ্যতা মূলক তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারণ করি ও মুখে হরিনাম করি তাহলে সদগতি ভগবান আমাদের করবেই করবে। তাই ভক্তি পথে কেউ একবারে সব আসতে পারে না, ধীরে ধীরে এই পারমার্থিক পথ অবলম্বন করে।সব কথার মূল কথা হল যে কেউ ভগবানকে যত কিছুই রান্না করে দেননা কেন সেই প্রসাদে যদি একটি তুলসী পত্র না থাকে সেই প্রসাদের কিছু ভগবান গ্রহন করবেনা, আর যার কন্ঠে তুলসীর মালা নেই এমন ব্যাক্তির হাতের কোন কিছুই ভগবান গ্রহণ করে না। আবার অনেকে বলে থাকেন ভক্তি থাকলে ভগবান সব কিছুই গ্রহণ করে থাকেন। হাঁ কথা সত্য বলছেন, কিন্তুু আপনি কি বলতে পারবেন, আমার ভক্তি আছে সব কৃষ্ণ নামে মগ্ন থাকি-? আপনি বৈদিক কোন কর্ম করে থাকেন তুলসী পত্র লাগবেই লাগবে। এমন কি মৃত্যুর পরেও মৃতদেহের চোখের উপরই তুলসীর পাতা আমরা দিয়ে থাকি। কেননা অনেক গাছের পাতায়ই তো আছে যেমন বট পাতা,কাঠাল পাতা মতো আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পাতা আছে চোখে দিলেইতো পারতো কিন্তুু কেন আমরা করিনা? শেষ বিদায় দিন কিন্তুু সকলের সঙ্গে তুলসীবৃক্ষই যাবে। একবার চিন্তা করে দেখুন, যে ব্যক্তি কখনো কণ্ঠে তুলসীর মালা ধারণ করে নাই, সাধুরা তাকে তুলসীর মালা পড়বার কথা বলেছে সে সাধুদেরকে উল্টাজ্ঞান দিয়েছে। সাধুদের সাথে খারাপ আচরণ করছে আর টিটকারি করে বলেছে আমার এখনও নাই মালা পড়ার ,তারা কত মহাপুরুষ যে তারা মৃত্যুকে জানে এবং বোঝে যে আমার এখন মৃত্যু হবে না। তারা কিন্তুু মূর্খ, হরিভজন করতে লাগে না। যে কোন বয়সে হরিভজন করা যায়। মৃত্যুর চোখে তুলসী পাতা কোন লাভ নাই।আত্মা তখন দেহ থেকে চলে গেছে,মরা দেহের মধ্যে তুলসী কি লাভ? জীবিত থাকতে সাধুরা অনেক বলেছে মালা ধারন করতে কিন্তুু করেননি নিজেকে প-িত ভেবেছেন। কিন্তুু মৃত্যুর পর আপনার প-িত গিরি শেষ।