বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় চোর সন্দেহে বর্মন সম্প্রদায়ের এক আদিবাসী নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সন্ধা রানী (৩৫) নামে ওই ভুক্তভোগী পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- মনিরুল ইসলাম ভূইয়া (৮০), তার দুই ছেলে মোস্তফা ভূইয়া (৪৫) ও সজিব ভূইয়া (৪০), মনিরুলের দুই মেয়ে মোছা. খুকি (৩৭), সুমি আক্তার (৩২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সন্ধা রানী উপজেলার সাগরদিঘি ইউনিয়নের মালিরচালা গ্রামের নারায়ন বর্মনের স্ত্রী। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী। আসামিদের সন্তানদের সঙ্গে তার ছোট ছেলে পলাশ (৮) খেলা করত এবং ঘুড়ি ওড়াত। ঘটনার ১৫ দিন আগে মামলার ১ নম্বর আসামি মনিরুল ইসলাম ভূইয়ার বাড়ি থেকে ঘুড়ি বানানোর জন্য পত্রিকা নিয়ে আসে তার ছেলে পলাশ। এদিন পলাশ তার সন্তানদের সঙ্গেও ঘুড়ি ওড়ায়।
হঠাৎ মনিরুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণ ও টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র চুরি হয়ে যায়। পরে গত ৩ জানুয়ারি পলাশকে তারা ধরে নিয়ে মারধর করেন এবং মালামাল চুরি করে তার মায়ের কাছে জমা দিয়েছে- এ ধরণের কথা শিখিয়ে দেন। তা না-হলে তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। ভয়ে পলাশ স্বীকারোক্তি দেয়।
পরে গত শনিবার মামলার ৪ এবং ৫ নম্বর আসামি সন্ধা রানীর বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে করিম ভূইয়ার আকাশমনি গাছের বাগানে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এসময় মামলায় উল্লেখিত পাঁচ আসামি ওই নারীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।