শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে- জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের র্যালী ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ
আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত মানবাধিকারের মূলনীতিগুলিকে বাংলাদেশ সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং নাগরিকের মানবাধিকারের সুরক্ষায় বিভিন্ন বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ মানবাধিকারের মূলনীতিগুলির কিছুই এখন বাস্তবে নেই বলে মন্তব্য করে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।’ সংবিধানে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বিশ্রাম ও চিত্ত বিনোদন এবং সামাজিক নিরাপত্তার মত অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবাধিকারসমূহ এবং নাগরিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুরক্ষার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অথচ আমরা যারা বাংলাদেশের নাগরিক আছি তারা এই সকল বিধানের সুবিধা কি লাভ করতে পারছি? আজ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছেন, আগামীতে হয়তোবা অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবেন। এটাই গণতান্ত্রিক নিয়ম বা রীতিনীতি। ক্ষমতার পলাবদল হবে কিন্তু জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে না এটা কিসের নীতি? কিসের নিয়ম??
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে মানবতার র্যালী ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, মানবাধিকার রক্ষা এবং তার উন্নয়নের প্রধান দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তার প্রশাসন, বিচার ও আইন বিভাগের মাধ্যমে জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করবে। অথচ আজ আমাদের ভোটের অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গণগণ আজ তার নাগরিক সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত। এইভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মানবাধিকারের প্রধান ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে। মানবতার মুক্তির দূত হযরত মহানবী (সা.) কর্তৃক মদীনা সনদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বে সর্বপ্রথম মানবাধিকারের রূপরেখা ঘোষণা হয়। মদীনা সনদ হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ লিখিত সংবিধান। এ সনদে মানবাধিকার বিষয়ে মোট ৪৭ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বিষয়টি এখন আরো প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে, যখন আমরা দেখছি যে, মানুষের অধিকারসমূহ আঞ্চলিক যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানির কারণে বার বার লংঘিত হচ্ছে। প্রথমত একটি পরিবার ও সমাজের কর্তারা তাদের অধিনস্থদের অধিকার রক্ষা করবে। দ্বিতীয়ত রাষ্ট্র এবং তৃতীয়ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করে থাকে।
জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব খন্দকার মো: মহিউদ্দিন মাহির সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, প্রচার সম্পাদক সালাহউদ্দিন সাকিব সহ জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন ও আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।