রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
হজরত বুরাইদা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে (আবু মুসাকে) এ রূপ বলতে শুনলেন যে-
اَللَّهُمَّ اِنِّىْ أَسْئَلُكَ بِاَنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِىْ لَمْ يَلِدْ وَ لَمْ يُوْلَدْ وَ لَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً اَحَدٌ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ; তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তুমি এক, অনন্য, মুখাপেক্ষীহীন ও অন্যের নির্ভরস্থল। তুমিই সেই মহান সত্ত্বা যে নাকি কাউকে জন্ম দেননি আর কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমকক্ষ কেউ হতে পারবে না।
আরো পড়ুন >>> সঠিক পথে থাকতে নিয়মিত পড়ুন এই দোয়াটি
তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে আল্লাহ তায়ালাকে তার ইসমে আজম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামের সঙ্গে ডাকল, যা দ্বারা যখন কেউ আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং যা দ্বারা কেউ যখন তাকে ডাকে, তিনি তার ডাকে সাড়া দেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)।
হাদিসের আমল ও নির্দেশনা
এ হাদিসে ইসমে আজমের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, আশ্রয় ও দোয়া করার বিষয়ে আহ্বান করা হয়েছে। আবার দোয়া কবুল হবে এ নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে। মূল কথা হলো বান্দাকে আল্লাহর কাছে যে কোনো বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
আরো পড়ুন >>> পুরনো ও ছেঁড়া কোরআন শরিফ কী করবেন জানেন?
মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহকে তার ইসমে আজমের সঙ্গে ডাকা। তার কাছে চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থনা করা। তার কাছেই সব বিষয়ের সাহায্য চাওয়া বান্দার জন্য সর্বোত্তম এবং কল্যাণের। কারণ তিনিই বান্দার আশা-ভরসার নির্ভরযোগ্য স্থল।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটির মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণে ডাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।