শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনের সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী বিরোধী শিবির তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের কাছে থেকে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে এবার তারা রণেভঙ্গ দিয়েছে। স¤প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাজশাহী জেলা কমিটির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের একটি ছবি দিয়ে এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তারা নিজেরাই কেন্দ্রের কাছে ধরাশয়ী হয়েছে। ইতমধ্যে এসব মিথ্যাচারকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার রয়েছে। এদিকে এমন প্রচারণার খবর ছড়িয়ে পড়লে এমপিবিরোধী শিবিরের পালের গোদা ও তার চ্যালাচামুন্ডাদের সামনে নেমে এসেছে অমবশ্যার ঘোঁর অন্ধকাঁর চোখেমূখে ফুঁটে উঠেছে হতাশার করুণ চিত্র, ভেঙ্গে পড়েছে মনোবল, হারিয়েছে মানষিক শক্তি রাজনীতিতে এরা এখন অনেকটা বাঁবুইভেঁজা হয়ে পড়েছে বলে তৃণমূলে আলোচনা রয়েছে। এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে এরা নানা ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপতৎপরতা ও সংগঠনবিরোধী নানা কর্মকান্ড করেও এমপির জনপ্রিয়তার কাছে তারা হার মানতে বাধ্য হয়েছে। একদিকে তাদের এমপিবিরোধী এসব মিথ্যাচার ও অপতৎপরতার কারণে তৃণমূল তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে তৃণমূলে এমপির জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তৃণমূলের ভাষ্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিপদগামী, টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজ-দলব্যবসায়ী-দখলবাজ ও জনবিচ্ছিন্ন একশ্রেণীর নব্য কোটিপতির নেপথ্যে মদদে এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার-ষড়যন্ত্রের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ফলে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যেতে শুরু করেছে অনেকের জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাবার উপক্রম হয়েছে। রাজনীতিতে এখন তারা প্রায় একা হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, প্রবীণ-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে,পাশপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও তাদের ত্যাগ করেছে, ফলে রাজনীতিতে এখন তাদের টিকে থাকায় কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ মিথ্যাচার করে কেন্দ্রের কাছে ধরা থেয়ে এরা না পারছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও এমপির কাছে আসতে না পারছে রাজনীতির মাঠে নামতে “শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থায় পড়ে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাবার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিমত, এরা জামায়াত-বিএনপির কাছে থেকে বড় অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদের বি-টিম হয়ে কাজ করছে উদ্দেশ্যে একটাই যেকোনো মূল্য এমপি ফারুক চৌধূরীকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে জামায়াত-বিএনপির দূর্গ রাজশাহীতে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করা। এদিকে বিষয়টি উপলব্ধি করেই কেন্দ্র থেকে এমপি ফারুক চৌধূরীকে সবুজ সঙ্কেত দেয়া হয়েছে তিনিই ফের হচ্ছেন জেলার সভাপতি তার কোনো বিকল্প নাই।
জানা গেছে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি আসনটি বরাবরের মতই জামাত-বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও নৌকা প্রতিক নিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী সংসদ নির্বাচিত হবার পর বদলে যেতে থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে তছনছ হয়ে যায় বিএনপি-জামাতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত তানোর গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গন। রাজশাহী-১ নির্বাচনী এলাকায় ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে বিএনপি-জামায়াত। তবে সিংহভাগ আধিপত্য থাকে বিএনপির কব্জায়। দীর্ঘ সময় একক আধিপত্য করেছে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক । স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে ছিল তার নেতৃত্বে বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য। সেই আধিপত্য ভেঙ্গে দেন সাংসদ ফারুক চৌধুরী। ৯০ দশকের দিকে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগ ছিল নামে মাত্র। ২০০১ সালে নির্বাচনে আসেন ফারুক চৌধুরী এবং ।২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও জনমত গড়ে তুলতে রাজশাহী অঞ্চল জুড়ে ছুটে চলেন একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রাপ্ত সব প্রান্তেই ছিল তার সরব উপস্থিতি বা বিচরণ। রাজশাহী আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন সৃষ্টি করে তানোরে এই প্রথম ৭টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে সক্ষম হন। তিনি প্রতিটি মুহূর্ত তৃনমূলে থাকেন বলেই এখানো তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। এসব বিবেচনায় ফের ফারুক চৌধূরীকেই জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আলোচনা করছে। #