বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি ফারুকবিরোধী শিবির বলে পরিচিত জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠা একটি সিন্ডিকেট চক্র ধরাশয়ী হয়ে অগ্যস্তযাত্রা ও রাজনীতির আকাশে তাদের সূর্যাস্ত হয়েছে। এমপি ফারুকের রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও মুন্সিয়ানার কাছেই তাদের এমন অসহায় পরাজয় ঘটেছে। এদিকে তাদের পরাজয় ঘটলেও এমপি ফারুককে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করার দাবী করেছে তৃলমূল থেকে জেলার নেতাকর্মীরা। এতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন কমিটি ঘোষণার পর রাজনৈতিক প্রতিযোগীতায় এমপি ফারুকের নিরঙ্কুশ বিজয় ঘটেছে আর তার বিরোধী শিবিরের হতাশাজনক পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করছে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তার বলছে, এমপি হিসেবে এখানো ফারুক চৌধূরীর সামনে তীর্ঘ পথ রয়েছে এর মধ্যে তিনি মন্ত্রীসভা, প্রেসিডিয়াম বা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হবার সম্ভবনা রয়েছে, কিšত্ত যারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিরোধীতার নামে দলীয়কোন্দল সৃস্টি করেছে তাদের তো অগ্যস্তযাত্রা ঘটেছে তাদের এখন কি হবে ? বিশেষ করে যারা রাজনীতি নিয়ে বাণিজ্য করেছে সেই দলব্যবসায়ীদের ?
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ফের বিনা প্রতিদন্দিতায় সভাপতি নির্বাচিত হবার সম্ভবনা থাকার পরেও এমপি ফারুক নিজে প্রার্থী না হয়ে তার অনুগত বলে পরিচিত সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে সভাপতি ও সাবেক সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে সাধারণ সম্পাদক করে বিতর্কমুক্ত একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিয়ে তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন রাজনীতি হচ্ছে আদর্শ-বিশ্বস্ত, নীতি-নৈতিকতা, নেতার নেতৃত্ব মেনে চলা ও মেধাবী নেতৃত্বের খেলা এথানে শতবর্ষী-অস্টবর্ষী, তিনপ্রজন্ম-ছয়প্রজন্ম রাজনৈতিক পরিবারের পরিচয় মূল্যহীন । কারণ এখন রাজনীতি হয় ঠান্ডা ঘরে বসে গরম কফির কাপে চমুক দিতে দিতে মাঠে বগি আওয়াজ ও গলাবাজী করে রাজনীতি করার দিন শেষ।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, নতুন কমিটি ঘোষণার পর রাজশাহী আওয়ামী লীগে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেঈমান ও বির্তকিত নেতৃত্বের অবসান ঘটেছে। অন্যদিকে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে ফারুকবিরোধী শিবিরের চির বিদায় বা চির অবসান এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছে তৃণমূল। তৃণমূলের ভাষ্য, এমপি ফারুক ঠিকই তার অনুগতদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়ে আওয়ামী লীগের পুরো নেতৃত্ব নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে তার অবস্থান থেকে রাজনীতি করবেন, তবে যারা তার বিরোধীতা করে পদবঞ্চিত হয়েছে তারা এখন কোথায় যাবে, তাদের কথা কে বলবে বা কে শুনবে, তারা না পারছে নতুন নেতৃত্বের কাছে যেতে, না পারছে কেন্দ্রে নালিশ করতে, না পারছে মাঠে নামতে ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থার মধ্যে পড়ে রাজনীতির অথৈ সাগওে হাবুডুবু খাচ্ছে লাইনচ্যুৎ হয়ে যে বেশীদুর এগিয়ে যাওয়া যায় না সেটা এবার তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী এবং শহীদ পরিবারের সন্তান রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্র্বর্তক, সৎ রাজনৈতিকে প্রতিকৃতি ও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার দৌহিত্র (ভাগ্নে) গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কমিটিতে দেখতে চাই এই অঞ্চলের দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, পারিবারিক ঐতিহ্য-সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্চ্ছালতা, জনবল বা কর্মীবাহিনী, রাজনৈতিক দূরর্শীতা, সাংগঠনিক তৎপরতা, আদর্শিক ও বিশ্বস্ততা নেতৃত্ব হিসেবে প্রেসিডিয়াম কমিটিতে স্থান পাবার মতো সব ধরণের যোগ্যতা রয়েছে এমপি ফারুক চৌধূরীর। ইতমধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ব্যক্তি স্বার্থকে জলাঞ্জলী ও দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সভাপতি পদে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত এটা জেনেও নিজে সভাপতি প্রার্থী না বিতর্কমুক্ত একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিয়ে তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন।
তৃণমূলের ভাষ্য, বিশেষ করে একশ্রেণীর নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী-দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী, দখলবাজী, মাদক স্পট, আবাশিক হোটেল বে-সারকারী ক্লিনিক, শহরের ফুটপাত, টার্মিনাল-স্ট্যান্ড, বালুমহাল, হাট-ঘাট বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী ও তদ্বির বাণিজ্য, দলের পদ বাণিজ্য, দল ব্যবসা, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান, দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিরোধীতা করে পৃথক বলয় সৃষ্টির নামে দলীয়কোন্দ্বল সৃষ্টি করে ঘরের মধ্যে ঘর-মশারীর মধ্যে মশারী টাঙ্গিয়েছে ইত্যাদি এমন অভিযোগে অভিযুক্তরা কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্ব¯িত্ত বিরাজ করছে বলে মনে করছে মাঠ পর্যায়ের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ। অপরদিকে আদর্শিক ও বিশ¯ত্ত নেতৃত্ব হিসেবে সভাপতি পদে এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী না থাকায় অনেক নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্ষক্ষরণ হচ্ছে অনেককে অশ্র“সজল দেখা গেছে। রাজশাহী আওয়ামী লীগের তৃণমূলের দাবি এমপি ফারুক যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছে একটি বিশাল সম্পদ তায় এই সম্পদ ধরে রাখতে তারা তাকে প্রেসিডিয়াম কমিটিতে স্থান দেয়ার জন্য দলের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। #