jahir
- ৩০ নভেম্বর, ২০২০ / ১০৩ জন দেখেছেন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় নির্বাচনের আগাম হাওয়া বইছে চায়ের কাপেও সেই আলোচনার ঝড় উঠেছে। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু কেবলমাত্র মেয়র পদ ঘিরেই আর্বতিত হচ্ছে। ইতমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের (সাম্ভাব্য) প্রার্থী ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন
মানবিক ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ, এলাকার উন্নয়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে আর্থিক অনুদান প্রদান, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন। পৌরবাসির অভিমত, সাধারণ মানুষ এবং ভোটারদের মধ্যে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে তরুণ নেতৃত্ব, ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন। মেয়র নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর, রাজনৈতিক,সামাজিক,
পারিবারিক পরিচিতি প্রয়োজন সেটা সুজনের রয়েছে। তবে সুজনকে ঘিরে তার চারপাশে একশ্রেণীর চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের ইস্পাত কঠিন চক্রব্যুহ গড়ে উঠেছে সেটা নিয়ে পৌরবাসী বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কারণ ওই চক্রব্যুহ ভেদ করে কোনো সাধারণ মানুষ সুজনের কাছে যেতে বা প্রাণখুলে সুজনের সঙ্গে মিশতে পারছে না। মেয়র না হতেই যদি এই অবস্থা তাহলে মেয়র হবার পরে কি হবে সেটা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত একজন ভাল নেতার চার পাশের মানুষ যদি খারাপ হয় তাহলে সেই নেতা ভাল থাকতে পারে না, আর একজন খারাপ নেতার চার পাশের মানুষ যদি ভাল হয় তাহলে সেই নেতা খারাপ থাকতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানোর পৌর যুবলীগের এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, সুজন ভাই ভাল মানুষ এবং যোগ্য প্রার্থী এটা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই, কিন্ত স্থানীয় ও বহিরাগত একশ্রেণীর চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কু চেলা-চামুন্ডাদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি সাধারণ মানুষের মাঝে তাকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃস্টি করছে, তাই এখানোই এদের পরিহার করা না হলে আগামিতে অশনি সঙ্কেত অপেক্ষা করছে। এসব চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের দ্বারা একটি ভোট হবে না তবে অসংখ্য ভোট নস্টের সক্ষমতা তাদের রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানোর পৌর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, সুজন যোগ্য প্রার্থী হবে সেটা ঠিক তবে তিনি তানোর পৌরসভায় নির্বাচন করবেন তাই ভালমন্দ যাই হোক তিনি পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল এবং গ্রহণযোগ্য বয়োজৈষ্ঠদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করবেন। কিন্ত্ত
তা না করে একশ্রেণীর গ্রহণযোগ্যহীন বিতর্কিত উঠতি বয়সী চ্যালা-চামুন্ড্যা ও অতিউৎসাহী
চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ করায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আদর্শিক নেতাকর্মীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমনিতেই স্থানীয়-বহিরাগত ইস্যুতে সুজন দিশেহারা তার উপর এসব চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের অতিবাড়াবাড়ি আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংককে ধীরে ধীরে দেওলিয়া করে দিচ্ছে।আবার। এসব চ্যালা-চ্যামুন্ডা-চাঁঙ্ক-পাঁঙ্কু
নিয়ে চলাফেরা করায় তাদের জন্য তার ব্যক্তি ইমেজক্ষুন্ন ও বিতর্কিত
হচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যদি তার ব্যবসায়িক কোনো স্বার্থ থাকে তাহলে ব্যবসার জায়গায় ব্যবসা আর রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি তাদের এখানোই পরিহার করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আবুল বাসার সুজন মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।