রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
রাজশাহী প্রতিনিধি
বহুল প্রতিক্ষিত ও জল্পনা-কল্পনার আবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর রোববার সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে সভাপতি ও সাবেক সাংসদ কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করেছেন। এদিকে নতুন নেতৃত্বের এই দুই নেতা সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর অনুগত বলে পরিচিত এবং এমপি ফারুক চৌধূরীর ইচ্ছেতেই তাদের ওপর নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিটি ঘোষণার পর সাবেক সভাপতি এমপি ফারুক অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা-উচ্ছাস দেখা গেলেও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অনুসারীদের মধ্যে চরম হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, নতুন কমিটি ঘোষণার পর রাজশাহী আওয়ামী লীগে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেঈমান ও বির্তকিত নেতৃত্বের অবসান ঘটেছে বলে আলোচনা রয়েছে। বিশেষ করে একশ্রেণীর নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী-দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী, দখলবাজী, মাদক স্পট, আবাশিক হোটেল বে-সারকারী ক্লিনিক, শহরের ফুটপাত, টার্মিনাল-স্ট্যান্ড, বালুমহাল, হাট-ঘাট বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজী ও তদ্বির বাণিজ্য, দলের পদ বাণিজ্য, দল ব্যবসা, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান, দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিরোধীতা করে পৃথক বলয় সৃষ্টির নামে দলীয়কোন্দ্বল সৃষ্টি করে ঘরের মধ্যে ঘর-মশারীর মধ্যে মশারী টাঙ্গিয়েছে ইত্যাদি এমন অভিযোগে অভিযুক্তরা কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্ব¯িত্ত বিরাজ করছে বলে মনে করছে মাঠ পর্যায়ের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ। অপরদিকে আদর্শিক ও বিশ¯ত্ত নেতৃত্ব হিসেবে সভাপতি পদে এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী না থাকায় অনেক নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্ষক্ষরণ হচ্ছে অনেককে অশ্র“সজল দেখা গেছে। এসব নেতাকর্মীরা মনে করছে, রাজশাহী বিভাগীয় শহর ও এক সময়ে জামায়াত-বিএনপির দূর্গ বা আঁতুড় ঘর। এখানে আওয়ামী লীগের মতো বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে গেলে সেই নেতার যেই ধরনের পারিবারিক ঐতিহ্য-সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্চ্ছালতা, জনবল বা কর্মীবাহিনী, রাজনৈতিক দূরর্শীতা, আদর্শিক ও বিশ্বস্ততা ইত্যাদি প্রয়োজন সেটা এমপি ফারুক চৌধূরীর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। #