শনিবার, ০৬ মার্চ ২০২১, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ৮ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিকে সম্মেলন ঘিরে পদ প্রত্যাশী নবীন-প্রবীণ নেতাকর্মীরা সমর্থন আদায়ের জন্য তৃণমূলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। এতে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। তবে সভাপতি পদে বিশ¯ত্ত, আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নীতিনির্ধারক মহল ও তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো তার বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি তাই তার কোনো বিকল্প নাই। ফলে সভাপতি পদে একমূখী লড়াই হচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত, তবে সাধারণ সম্পাদক পদে চতুরমূখী লড়াই হবার সম্ভবনা রয়েছে। তৃণমূলের অভিমত, সাধারণ সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বাগমারা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও সাংসদ প্রকৌশলী এনামুল হকের মধ্যে তীব্র প্রতিদন্দিতা হবার সম্ভবনা রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, রাজশাহী বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি ও বিভাগীয় শহর এখানে আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় দলের নেতৃত্ব দিতে যেই পরিমাণ জনবল-কর্মী-বাহিনী, আর্থিক স্বচ্ছলতা, আদর্শিক-বিশস্ত, পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক পরিচিতি, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহসিকতা ইত্যাদি প্রয়োজন সেটা কেবলমাত্র এমপি ফারুক চৌধূরীরই রয়েছে। এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের দূর্গে আওয়ামী লীগ ছিল কলাগাছ (দুর্বল) তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় সেই কলাগাছকে বটগাছে (শক্তিশালী) পরিণত করেছেন। এসব বিবেচনায় তিনি আবারো জেলা সভাপতি হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীগণ। এদিকে দলের নীতিনির্ধারণী মহল সভাপতি পদে এমপি ফারুককে সবুজ শঙ্কেত দিয়ে প্র¯ত্ততি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে। অথচ রাজনৈতিক প্রতিযোগীতায় তার সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রতিপক্ষরা মিথ্যাচার করছে জেলা সভাপতি হলেও তিনি বিভিন্ন উপজেলার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন না। তাদের অভিযোগ বা যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহলে তো দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের সকল জেলায় অনুষ্ঠিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে কারণ তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। কিšত্ত আসলে কি সেটা সম্ভব কখানোই না তাছাড়া এমপি ফারুক চৌধূরী যদি দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করেন তাহলে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এতো শক্তিশালী হয়েছে কিভাবে। আবার জেলা সভাপতি হিসেবে যদি প্রতিটি উপজেলায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচি তাকেই করতে হয় তাহলে উপজেলা কমিটির কাজ কি ?
জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধূরী রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি এবং উদ্যেক্তা ও সফল ব্যবসায়ী তিনি প্রায় কুড়ি বছর সফলতার সঙ্গে রাজশাহী আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, একটানা তিন বার এমপি নির্বাচিত হয়ে একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে (কুড়ি বছর) তিনি এমপি হয়ে একজন, ব্যবসায়ী হয়ে একজন ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে একজন অর্থাৎ তিনস্তর থেকে একজন করে প্রতিদিন যদি তিনজন মানুষের উপকার করে থাকেন তাহলেও তিনি কুড়ি বছরে ২১ হাজার ৯০০ মানুষের সরাসরি উপকার করেছেন আর উপকৃতরা যদি একজন করে মানুষকে এমপি ফারুকের পক্ষে নিয়ে আসেন তাহলে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ এখানো তার প্রতি অন্ধভক্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর এতো ইতিবাচক অবদান থাকার পরেও যদি তিনি সভাপতির দায়িত্ব না পায় তাহলে যারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিরোধীতা করছে তাদের এমন কি ইতিবাচক অবদান রয়েছে সেটা তারা দেখাক এই জনপদের মানুষ সেটা দেখতে চাই, দেখাবার মতো একটিও ইতিবাচক উদাহারণ তারা দেখাতে পারবে না। কি কারণে এমপি ফারুককে সভাপতি করা যাবে না, আর কি কারণে অন্য কাউকে সভাপতি করা হবে সেই ব্যাক্ষা তাদের কাছে নাই। তাছাড়া এমপি ফারুক কুড়ি বছরের একটি পরিপূর্ণ গাছ সবেমাত্র ফল দেয়া শুরু করেছে, এখন এই গাছ কেটে কি নতুন বীজ বপণ করা উত্তম না গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছেঁটে গাছের পরিপূর্ণ পরিচর্যা করা উত্তম সেটা অবশ্যই পর্যালোচনার দাবী রাখে। এমপি ফারুকের মতো হেভিওয়েট নেতার নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা মিথ্যাচার করছে নেপথ্যে তাদের অন্য উদ্দেশ্যে রয়েছে। অন্যদিকে এমপি ফারুক নেতৃত্বে আশার পর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছে বিশাল সম্পদ বলে বিবেচিত, তবে এমন একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন আদর্শিক, কর্মী-জনবান্ধব নেতাকে যেনো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া না হয় সেই দাবী করা হয়েছে, এসব দাবী করেছে কারা যারা বিভিন্ন সময়ে টেন্ডারবাজী, দখলবাজী, দলীয় কর্মসুচির নামে চাঁদাবাজী, দলব্যবসা, দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী করেছে বলে তৃণমূলে আলোচনা রয়েছে। কিšত্ত কেনো কি তার অপরাধ সেই ব্যক্ষা তাদের কারো কাছে নাই, তবে যারা এমন দাবী করেছে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান, পরিচয় ও উদ্দেশ্যে কি সেটা এই জনপদের দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে স্পস্ট হয়ে উঠেছে। এমপি ফারুক চৌধূরী জেলা আওয়ামী লীগকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি হয়তো সকলের সব আবদার পূরুণ করতে পারেননি তায় তার বিভিন্ন কাজ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতেই পারে এটা যেমন স্বাভাবিক। তেমনি জামায়াত-বিএনপির দূর্গে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তার যে অবদান সেটাও অস্বীকার করা বা বির্তকের কোনো সুযোগ নাই, আবার তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কোনো সুযোগ নাই। তিনি আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দেবার আগের ও পরের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে এটার জন্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হবার কোনো প্রয়োজন নাই। এব্যাপারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক শরিফ খাঁন বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন ফারুক চৌধূরী তাই তিনিই হচ্ছেন সভাপতি এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই, তিনি বলেন, বিষয়টি ইতমধ্যে আমরা দলের নিতীনির্ধারক মহলকে অবগত করেছি আর ফারুক চৌধূরী ব্যতিত এক সময়ের জামায়াত-বিএনপির দূর্গ রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কল্পনাও করা যায় না।
তানোর প্রতিনিধি