বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এমনটি ধরে নিয়েই কমিটিতে আসতে নেতাকর্মীরা তৎপর হয়ে উঠেছে এবার আসতে পারে বড় চমক, সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন-অর্জন সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরে জনসমর্থন বৃদ্ধি, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে শিগগির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন বইছে। স্থানীয়রা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে কেউ কেউ আলোচনায় থাকলেও আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন এমপি ফারুক চৌধূরী আওয়ামী লীগে তার কোনো বিকল্প নাই, তারা আলোচিতদের নিয়ে বট গাছের সঙ্গে শিশু গাছের প্রতিযোগীতা বলেই মনে করছে। কারণ রাজশাহী বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি ও বিভাগীয় শহর এখানে আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় দলের নেতৃত্ব দিতে যেই পরিমাণ জনবল-কর্মী-বাহিনী, আর্থিক স্বচ্ছলতা, আদর্শিক-বিশস্ত, পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক পরিচিতি, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও সাহসিকতা ইত্যাদি প্রয়োজন সেটা কেবলমাত্র এমপি ফারুক চৌধূরীরই রয়েছে তাই তিনিই আবারো জেলা সভাপতি হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের (কাউন্সিল) সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এমনটি ধরে নিয়েই নেতাকর্মীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে জম্পেশ আলোচনা ইতিমধ্যে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে। কারা হচ্ছেন সভাপতি ও সম্পাদক ? এই প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ওদিকে সমর্থন পেতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন পদ প্রত্যাশীরা। ফলে কাউন্সিলকে ঘিরে নতুন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সভাপতি এমপি ফারুকের কোনো বিকল্প নাই, তাকে শরিয়ে তার শূণ্য স্থান পূরুণের মতো বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব এখানো গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই, এছাড়াও আওয়ামী লীগে এমপি ফারুকের নিজস্ব বিশাল বলয় রয়েছে তাই এবারো তিনি সভাপতি হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেবার মতো জনবল, পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, আদর্শিক-পরীক্ষিত নেতৃত্ব, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও গ্রহণ যোগ্যতা ইত্যাদি যেসব গুণের প্রয়োজন তার সবগুলো এমপি ফারুকের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আশায় তিনি হয়তো সকলের সব আবদার পূরুণ করতে পারেননি তায় এমপি ফারুককে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতেই পারে এটা যেমন স্বাভাবিক। তেমনি আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তার যে অবদান সেটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই, আবার তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কোনো সুযোগ নাই। তিনি আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দেবার আগের ও পরের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে এটার জন্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হবার কোনো প্রয়োজন নাই। এছাড়াও ফারুক চৌধূরীর আদর্শিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আজকের এই গণজোয়ার এসেছে। আদর্শিক-প্রবীণ, ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ, রাজনৈতিক দূরদর্শীসম্পন্ন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, রাজনৈতিক সহাবস্থান, কর্মী-জনবান্ধব নেতা হিসেবে ফারুক চৌধূরীর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে রাজশাহীতে ফারুক চৌধূরী ব্যতিত আওয়ামী লীগের রাজনীতি কল্পনাও করা যায় না এসব বিবেচনায় তিনি আবারো সভাপতি হচ্ছেন এই বিষয়ে কারো কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পদে তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন তবে বর্তমান সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম-সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী আলোচনায় রয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছে। কারণ যারা ইতিপূর্বে স্থানীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছে বা নেপথ্যে মদদ দিয়েছে, দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী, এমপিদের বিরোধীতা করে আলাদা বলয় সৃষ্টির নামে দলীয়কোন্দল ইত্যাদি করেছে তারা কোনো অবস্থাতেই সাংগঠনিক পদে আসতে পারবে না বলেও আলোচনা রয়েছে।
অপরদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলা আওয়ামী কমিটি গঠনে ভোট প্রয়োগের পরিবর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেনো সিলেকশনের মাধ্যমে তার বিশস্ত ও আদর্শিক নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব অর্পন করেন। কারণ রাজশাহীতে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে গেলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এছাড়াও কালো টাকার প্রভাবে অনেক অযোগ্য ও বিশ্বাষঘাতক বলে র্তণমূলে পরিচিত এমন ব্যক্তি নেতৃত্ব চলে আসতে পারে। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে এলাকার মানুষের মূখে মূখে এমন কথার প্রচার আছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ৭১ সদস্য বিশিস্ট পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির অনুমোন দেন দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে কাউন্সিলে কি হয় না হয় তা নিয়ে আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাজশাহীর এমপিরা একত্রিত হয়ে দলের শৃংঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয়কোন্দল সৃষ্টির অভিযোগে একশ্রেণীর নেতার বিরুদ্ধে দলের সভাপতি ও নীতি-নির্ধারক মহলে নালিশ করায় এসব নেতাদের মধ্যে এমন আতঙ্কের সূত্রপাত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তৃণমূলের অভিমত, সভাপতি পদে এমপি ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই। স্থানীয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে দলের দায়িত্বশীল সাংগঠনিক পদে থেকেও যারা দলের কর্মকান্ডে সক্রিয় না হয়ে গোপণে দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী করেছে, একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি অবস্থানও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ এবং নিজের আখের গোছাতে প্রতিপক্ষের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের চাদর গায়ে দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে পৃথক বলয় সৃষ্টির নামে দলের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করেছে, দায়িত্বশীল পদে থেকেও দলের দায়িত্বশীল আদর্শিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রগান্ডা ছড়িয়েছে,স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী দলীয় প্রার্থীদের বিজয় ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিদ্রোহী প্রার্থী করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি করেছে। এমপিদের বিরুদ্ধে বিষাদাগার, তৃণমূলে দলীয়কোন্দল সৃষ্টি ও এমপিদের চাপে রেখে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের সঙ্গে গোপণ আঁতাত করে দলের তৃণমূলে কোন্দলের বিষবাষ্প ছড়িয়েছে। আবার অবৈধ সুবিধা আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা, দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী করে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে দলীয় স্বার্থকে জঞ্জালি দিয়ে আদর্শিক পরিচয়ে আদর্শহীন কর্মকান্ড করেছে তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ এদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন নেতৃত্ব দিতে নীতি-নির্ধারকদের কাছে অনুরোধ করেছেন বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন কথার ব্যাপক প্রচার রয়েছে। তৃণমূলের দাবী তারা কথিত বড় নেতা নয় আদর্শিক, দল, নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যশীল, পরীক্ষিত-নিবেদিতপ্রাণ বিশস্তদের নেতৃত্ব দেখতে চাই। এব্যাপারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক শরিফ খাঁন বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন ফারুক চৌধূরী তাই তিনিই হচ্ছেন সভাপতি এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই, আর ফারুক চৌধূরী ব্যতিত রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কল্পনাও করা যায় না।