বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
রাশিভেদে কারো রাগ বেশি তো আবার কারো মাথা খুব ঠাণ্ডা। কারো মন ফুলের মত কোমল হলে কারো আবার পাথরের মত কঠিন। রাশিগত কারণে চারিত্রিক পার্থক্য থাকার ফলে কেই-ই বা হবে দারুণ মনের মানুষ সবকিছুই আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তাই এই রাশির ফলেই বোঝা যাবে কোন রাশির জাতিকারা বা নারীরা হয়ে থাকেন দারুণ স্ত্রী। যাকে বিয়ে করলে নিঃসন্দেহে বদলে যাবে জীবন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই রাশির নারীদের সম্পর্কে-
বৃষ (২০ এপ্রিল থেকে ২১ মে)
এই রাশির নারীরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী ও একরোখা। একই সঙ্গে ভালোবাসার পুরুষকে বারবার পরীক্ষা করতেও তারা ভালোবাসেন। এদের সঙ্গে সংসার করা খুবই কঠিন, কেননা তারা সর্বদা ভালোবাসা ও সময় দাবী করে। কিন্তু কোনো পুরুষ যদি ধৈর্য নিয়ে সঙ্গে থেকে যান ও বৃষ নারীর ভালোবাসার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন, তাহলে জীবন হয়ে উঠবে স্বর্গ। গভীর ভালোবাসা কখনোই প্রতারণা করেন না, পরকীয়া তাদের কাছে ঘৃণিত। অন্যদিকে প্রতারিত হলে নেন কঠোর প্রতিশোধ। স্বামী-সংসার নিয়েই তাদের জীবন আবর্তিত, ভালোবাসেন আদর্শ সংসার গড়ে তুলতে। বৃষ নারীরা চমৎকার রাঁধতে জানেন এবং মিষ্টি রুচিবোধের জন্য অনন্যা। প্রেমের ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত রোমান্টিক। সন্তানপালনসহ সব দিকেই পটু অসম্ভব বুদ্ধিমতী এই জাতিকারা।
কর্কট (২২ জুন হতে ২২ জুলাই)
এই রাশির জাতিকারা হয়ে থাকেন শান্তিপ্রিয়। সংসার ও জীবনে সবকিছু টিপটপ রাখতে তারা খুব ভালোবাসেন। তারা ঠাণ্ডা মাথার, বড় বিপদেও উতলা হয়ে পড়েন না বা সঙ্গীকে ছেড়ে যান না। সঙ্গীর দেখাশোনা করা, অনেক বড় অন্যায়কেও ক্ষমা করতে পারা কর্কট স্ত্রীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই একদম নিশ্চিত, মজবুত দাম্পত্য চাইলে কর্কট কন্যারা হচ্ছে সেরা। কর্কট নারী স্ত্রী হিসেবে সহজ ও সাবলীল।
কন্যা (২৩ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর)
দেখে মনে না হলেও কন্যা রাশির জাতিকারা দারুণ স্ত্রী হয়ে থাকেন। সুখে-দুঃখে সবসময়ে তারা সঙ্গীর পাশে থাকেন। সঙ্গীর সঙ্গে সমানে সমানে সংসারের সব দায়িত্ব পালন করে থাকেন। একদিকে তারা যেমন দায়িত্বশীল ও নরম মনের মা, অন্যদিকে আনন্দপ্রিয় স্ত্রী। বিপদের সময়ে সঙ্গীর পাশে থাকা তাদের বড় বৈশিষ্ট্য এবং এরা কখনো সঙ্গীকে আঘাত করে কথা বলেন না। সকলের সামনে সঙ্গীর সম্মান বৃদ্ধি করাতেই তাদের আনন্দ।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর)
এই রাশির জাতিকারা আমুদে ও সামাজিক। ঘর ও বাহির দুটোই সামাল দিতে তাদের জুড়ি নেই। তারা মিষ্টভাষী, ফলে স্বামীর যোগ্য সঙ্গিনী হয়ে থাকেন। তারা জানেন কীভাবে সমস্যার সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সমাধানের চেষ্টা করতে হয়। সঙ্গীর বাজে ব্যবহারেও তারা ধৈর্যহারা হন না, অনেক বড় অপরাধও ক্ষমা করে দিতে পারেন। তুলা জাতিকাদের কাছে অর্থের চাইতে ভালোবাসা বড়। সঙ্গীর কাছ থেকে তারা পর্যাপ্ত সম্মান ও ভালোবাসা আশা করেন তারা আর সেটা পেলেই সন্তুষ্ট তুলা জাতিকারা। সন্তানদেরও একই মূল্যবোধ দিয়ে বড় করে তোলেন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর)
একটু মুখচোরা বা পিছিয়ে পড়া পুরুষের জন্য বৃশ্চিক নারীরা দারুণ স্ত্রী প্রমাণিত হয়ে থাকেন। এরা স্বনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী। কোনো কিছুর জন্যেই কারো ওপরে নির্ভর করা পছন্দ করেন না। ফলে স্বামীর ওপরে কোনো দিক দিয়ে তারা বোঝা নন। তারা আবেগী ও সৌন্দর্যপ্রিয়, কিন্তু জানেন পৃথিবীকে কীভাবে সামাল দিতে হয়। সংসারের রণভূমিতে সঠিক কৌশলের অভাব তাদের কখনো হয় না। সন্তানদের সঠিক পরিবেশে বড় করতে তারা সিদ্ধহস্ত।