সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময়ও দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রারাসাগুলো কর্তৃপক্ষ ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’। সংস্থাটি বলছে, লকডাউনের বিধি-নিষেধের কারণে পরীক্ষার্থীরা স্ব স্ব মারকাযে (কেন্দ্রে) স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করবে।
১ এপ্রিল থেকে এ বছর দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হেফাজতের বিক্ষোভ, আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় পরীক্ষার্থীদের অনেকেই তারিখ পেছানোর আবেদন করে। পরবর্তীতে ২ দিন পিছিয়ে ৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ২২২টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হয়। যদিও ২৯ মার্চ করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ১৮ দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সেই প্রজ্ঞাপনের (ত) ধারার মতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় হাইআতুল উলয়া। ত- ধারায় বলা হয়েছে, “সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোনও ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।”
রবিবার (৪ এপ্রিল) এ বিজ্ঞপ্তিতে হাইআতুল উলয়া জানিয়েছে, ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাওরায়ে হাসিসের অবশিষ্ট ৮ বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে। সকাল ও বিকাল দু’বেলা ২টি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সময় ২:৪৫ মিনিট। সকালে পরীক্ষা শুরু হবে ৯টায়, শেষ হবে ১১:৪৫ মিনিটে। বিকালে পরীক্ষা শুরু হবে ২টায়, শেষ হবে ৪:৪৫ মিনিটে।
লকডাউনের মধ্যের কেন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও আল-হাইআতুল উলয়‘র অফিস সম্পাদক অছিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এদিকে লকডাউনের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া এবং একই দিনে দুটি করে পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ‘হাইআতুল উলয়া’ একের পর এক অগ্রহণীয় ও অমানবিক সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ে দু’টি পরীক্ষা। সিদ্ধান্তের পরিবর্তন দেখে মনে হচ্ছে, এটি নূরানীর কায়দা’র পরীক্ষা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রে মাস্টার্স পরীক্ষার সিস্টেম ফলো করার আবেদন রইলো।