শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম মনোনিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলাধীন দালাল বাজার ইউনিয়নের উত্তর মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই পদে এমপির আলাদা আলাদা প্যাডে দুইজনকে মনোনীত করাই এ ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগে আফজাল হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদস সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম সদর উপজেলাধীন উত্তর মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী হিসেবে আমাকে মনোনীত করে। গত (২৬ অক্টোবর) ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন আজাদ বিদ্যালয়টির বিদ্যোৎসাহী সদস্যর এ আবেদন গ্রহন করে।
কিন্তু (৩ জুলাই) নুর আলম নামে এমপির মনোনয়নকৃত আরেকটি বিদ্যোৎসাহী সদস্য আবেদন গ্রহন করে প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে (২৯ অক্টোবর) স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যোৎসাহীর দুইটি মনোনয়নপত্র নিয়ে সংসদ সদস্যর প্রতিনিধি আদনান চৌধুরীর শরণাপন্ন হয়। এসময় সকলের উপস্থিতিতে আদনান চৌধুরীর নির্দেশ দেন যে, এমপি মহোদয় নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই আফজাল হোসেন নামে যে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন অনুমোদন দিয়েছেন এই আবেদনটিই চূড়ান্ত।
অথচ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংসদ সদস্যর সর্বশেষ সিদ্ধান্তর তোয়াক্কা না করে (৩০ অক্টোবর) গোপনীয় ভাবে প্রধান শিক্ষকের পছন্দের ব্যক্তি নুর আলমকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে কমিটি গঠন করার চেষ্টা চালায়।
অভিযোগকারী আরো জানায়, স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ান, স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত না থেকেই তার ব্যক্তিগত কাজে বাহিরে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অসংখ্য অভিভাবকগণ তাদের ছেলে মেয়েকে এই স্কুল থেকে নিয়ে গিয়ে ৪/৫ মাইল দুরে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টি প্রায় ছাত্র-ছাত্রী শূন্য হওয়ার পথে। প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন তার সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করার জন্য তার পছন্দের ব্যক্তি নুর আলমকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে কমিটিতে রেখে বিনা নির্বাচনে নুর আলমকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বানানোর চেষ্টা করছেন।
আফজাল হোসেন জানান, নিয়ম অনুযায়ী মাননীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম উত্তর মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী হিসেবে আমাকে মনোনীত করে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন আজাদ এমপির নির্দেশ অমান্য করে অতিউৎসাহী হয়ে নুর আলম নামের এক ব্যক্তিকে বিদ্যোৎসাহী হিসেবে মনোনয়ন করার পায়তারা করছে শুনে আমি এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি আদনান চৌধুরীকে বিষয়টি অবহিত করি। এমপির প্রতিনিধি উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র যাছাইবাছাই করে এবং এমপি মহদোয়কে অবহিত করে আমাকে ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী হিসেবে ঘোষনা করে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাকে কোন ভাবেই মনোনিত হতে দেবেনা বলে জানায়।
এবিষয়ে উত্তর মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন আজাদের মোবাইল/ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।শীর্ষ সংবাদ