মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৭ অপরাহ্ন
লেখক মুশতাক আহমেদের রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, শাহবাগে ছাত্রদের উপর হামলা ও কার্টুনিস্ট কিশোর সহ আটককৃতদের সকলের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) উদ্যোগে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঢাকা-৮ (মতিঝিল) থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এমপি পদপ্রার্থী ও সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন এর মেয়র প্রার্থী (মাছ প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১৭ হাজার) কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ।
সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, “লেখক মুশতাক আহমেদ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদকে ‘তিলে তিলে হত্যা’ করা হয়েছে। লেখক মুশতাক ‘পুলিশি রাষ্ট্রের বলি’। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।”
কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ বলেন, “বর্তমান সরকার ভোটারবিহীন সরকার। তাই সব সময় ভীত-সন্তস্ত থাকে। জনগনকে ভয় পায়। কারো সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। এই হত্যার দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে। একদিন প্রতিটি হত্যাকন্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই।”
তিনি শাহবাগে ছাত্রদের সমাবেশে হামলার নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে কার্টুনিস্ট কিশোর সহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সকলের মুক্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাঁরাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ৬ বার নাকচ হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কমরেড বিন ইয়ামিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোস্তফা আল খালিদ বিন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজ্ঞানী কমরেড সামছুল হক সরকার, কমরেড বায়েজিদ হোসেন, গণতান্ত্রিক কৃষক মঞ্চের সভাপতি কমরেড তালিবুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কমরেড রাসেল, ভাড়াটিয়া কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।