বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
আবদুল ওহাব বগুড়া প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফেসকা চাপড় গ্রামে সরকারি ভুমির বেলজিয়াম, মেহগনি ও ইউক্লিপটার জাতের পুরাতন গাছ কয়েকদিন ধরে একটানা কেটে দেড় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ৪ ছেলে হজরত আলী (৫৫), হাতেম আলী ৫০) , রুহুল আমীন (৪৫) ও ফরুক হোসেন (৪০)। তবে খরণা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সাথে লিয়াজো করে গাছগুলো কেটেছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
আর শাজাহানপুর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহমুদা পারভিন এসবের কিছু জানেন না বলে জানান।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার খরণা ইউনিয়নের খরণা মৌজার সাবেক দাগ নং ৫৬১০ ও ৫৬১৪ হাল দাগ নং ১১২০৮, ১১২৩৩ ও ১১৬৪৩ সরকারী খাস ভুমি। এমতাবস্থায় ফেসকা চাপড় গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ৪ ছেলে হজরত আলী (৫৫), হাতেম আলী ৫০) , রুহুল আমীন (৪৫) ও ফরুক হোসেন (৪০) তাদের পুর্ব বংশধরদের নাম দিয়ে অনেক পুর্বের তারিখ দিয়ে ওই ভুমির দলিল সৃষ্টি করে ও জমির মালিকানা দাবী করে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্র পক্ষ বাদী হয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়। এমতাবস্থায় জমি না পেলেও জমির গাছ কেটে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চিন্তা করে কয়েকদিন ধরে তারা ওই ৭ একর জমির প্রায় অর্ধশতাধিক বেলজিয়াম, মেহগনি ও ইউক্লিপটর জাতের পুরাতন মুল্যবান গাছ স্থানীয় গাছ ব্যাবসায়ীদের কাছে দেড় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীরা তাদেরকে নির্ভয় দিয়ে দিনেরাতে গাছগুলো কেটে বীরদর্পে নিয়ে যায়।
এদিকে গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে মৃত হোসেন আলীর ছেলে ফারুক হোসেন জানান, এতে অসুবিধা নাই। খরণা ভুমি অফিসের সাথে কথা বলে ও লিয়াজো করে গাছগুলো প্রায় ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী ও ওমরদীঘি গ্রামের কয়েকজন লোক এসে তাদেরকে নির্ভয় দেয়ায় তারা আরও সাহসে ফেটে পড়ে। তাছাড়া অনেকদিন থেকে এখানকার গাছ মাঝে মাঝে বিক্রি করলে খরণা ভুমি অফিস থেকে লোক আসে। কিন্তু কিছুই হয়না। এরই ধারাবাহিকতায় ও সাহসে এসব করা সম্ভব হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
এদিকে টানা কয়েকদিন ধরে সরকারী ভুমির গাছ কাটা ও এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারন জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহমুদা পারভিন বলেন,“বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা, তবে খতিয়ে দেখছি”। আর সংশ্লিষ্ট খরনা ভুমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নিকট এবিষয়ে জানার জন্য বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আবদুল ওহাব
বগুড়া প্রতিনিধি