রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে প্রভাবশালী পোল্ট্রি খামার মালিকের দায়িত্ব অবহেলায় খামারে শিয়াল ধরার ফাঁদে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে (শক) আসমা বেওয়া (৪৫) নামে এক বিধবা নারীর মর্মান্তিক মূত্যু হয়েছে। এদিকে বিধবার মূত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে পাশপাশি জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ এটাকে নিছক দুর্ঘটনা বললেও অধিকাংশ মানুষ বলছে খামার মালিকের দায়িত্ব অবহেলায় তার মূত্যু হয়েছে, তাই তিনি কিছুতেই বিধাব আসমার মূত্যুর দায় এড়াতে পারেন না। আবার অনেকে বলছে খামার মালিক একটু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলেই তো এমন মর্মান্তিক ঘটনা গ্রামের মানুষকে দেখতে হতো না। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর তানোর পৌর এলাকার জিওলচানপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীন শাহ্র পুত্র প্রভাবশালী মহাসিন আলী শাহ্র পোল্ট্রি খামারে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। খামার মালিক মহাসিন তাঁর খামারে প্রতিদিনের মতো এদিনেও শিয়াল ধরার ফাঁদে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে রাখে। এদিকে শনিবার সকাল ১১টার দিকে গ্রামের মৃত আরজান আলীর স্ত্রী আসমা বেওয়া (৪৫) গো-খাদ্য ঘাস কাটতে গিয়ে খামারের শিয়াল ধরা ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পস্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মূত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, ওই খামারের শিয়াল ধরা ফাঁদে এর আগেও অনেক মানুষ ও গবাদী পশু বৈদ্যুতিক শক খেয়েছে বিষয়টি খামার মালিককে জানানো হলেও তিনি তা আমলে নেননি। আবার তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের কোনো মানুষ এসবের প্রতিবাদ করতে পারেনি, এমনকি অনেক সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিবাদকারী উল্টো বিপদে পড়েছে, খামার মালিকের একগুয়েমির কারণেই এই মূত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারা বলেন, নিহতের স্বজনরা মামলা করতে চাইলেও প্রভাবশালী মহাসিনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একটি মহল তাদের মামলা করতে না দিয়ে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে বিষয়টি ধাঁমাচাঁপা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ইচ্ছে করলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করতে পারতেন কারণ এর আগে এমন অনেক ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। তিনি বলেন, প্রভাবশালী মহাসিনের বিরুদ্ধে তারা মামলা করতে পারবে না তাই বলে কি তারা নায্য বিচার পাবে না বরং মহাসিনকে শাস্তি দেয়া হলে সেটা দেথে অন্যরা শতর্ক হবে তাই তাকে শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ বলে তিনি দাবি করেন। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।