রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা হওয়াটা যেমন দুঃখজনক। তেমনি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী পর্যন্ত না পাওয়াটাও দুঃখজনক। খুব শিঘ্রই এ প্রকল্পের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী প্রদানের ব্যাবস্থা করা হবে। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সম্প্রতিক সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফলগাছা গ্রামের নিজস্ব বাসভবনে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী’র সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি সাংবাদিকদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানিয়ে বলেন, সকল প্রকার দিধা-বিভক্তি উপেক্ষা করে একতাবদ্ধভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোন বাঁধা বিঘœ থাকতে পারে না। এতে যেকোন ধরণের বাঁধা আসলে তা রোধ করা সম্ভব। একই সঙ্গে ত্রæটি বিচ্যুতিও কমে আসবে। এজন্য সাংবাদিকদেরকে পেশাগতভাবে আরও দক্ষ ও গতিশীল করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, স্থায়ী অবস্থান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে আপনাদের (সাংবাদিকদের) পাশে থাকবো। এ পর্যন্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগ, তিস্তা ব্রীজসহ বিভিন্ন সেক্টরে নানামূখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ পূর্বক এর বেশকিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। যেগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের অপেক্ষামাত্র। সমাজ উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভ‚মিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য তিনি সাংবাদিকদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান। এ সময় সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, রংপুর-পীরগাছা-সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কে সুন্দরগঞ্জ অংশের দু’ধারে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ গণসংযোগস্থলগুলোতে সড়ক দূর্ঘটনা ক্রমাগতভাবে বেরেই চলছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও গুরুত্বপূর্ণ গণসংযোগস্থলগুলোতে এ ধরণের দূর্ঘটনা রোধকল্পে রাস্তা পারাপরের জন্য ওভার ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজন। দাবির প্রেক্ষিতে শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি এ বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা হওয়াটা দুঃখজনক। এটা মুক্ত ধারার কন্ঠ রোধ করার অপপ্রয়াস মাত্র। একই সঙ্গে উপজেলার কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী এখনো না পাবার ব্যাপারটাও দুঃখজনক। খুব শ্রীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। এ সময় ্য উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শাহজাহান মিঞা, আব্দুল মান্নান, রাশিদুল আলম, আনোয়ার হোসেন, এমএ মাসুদ, মোশাররফ হোসেন, রেদওয়ানুর রহমান, ক্বারী আবু জায়েদ প্রমূখ।