মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার কয়েক লক্ষ মানুষ। এতে দরিদ্র পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকলেও এখনো খাদ্য সহায়তা পৌঁছেনি সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গুচ্ছগ্রামে। জানা যায় ফরিদুপর ইউনিয়নের ভূমিহীন মানুষের মধ্যে প্রায় ১০০ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে মহেশপুর গুচ্ছগ্রামে। এ গ্রামে বসবাসকারী মানুষগুলো দিন আনে দিন খায়। কেউবা চালায় ভ্যানগাড়ি। কেউবা খাটে অন্যের বাড়ি। এছাড়া রয়েছে ভিক্ষাবৃত্তির পেশার বেশ কয়েকটি পরিবার। গায়ের ঘাম
ঝড়া দৈনন্দিন রোজগারে কোনোমতে সংসার চলছিল তাদের। সম্প্রতি প্রাণঘাতি করোনার থাবায় থমকে গেছে তাদের জীবন। লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে ১০০ পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ। তাদের বন্ধ হয়েছে আয় রোজগারের পথ। ফলে চরম খাদ্য অভাবে পড়েছে অসহায় মানুষরা। তারা বেঁচে থাকার চেষ্টায় খাদ্যের সন্ধানে ছুটছে এদিক-সেদিক। কিন্তু লাভ হচ্ছে না ক্ষুধার্ত মানুষদের। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে তারা। মহেশপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা নেছামাই বেওয়া (৮০) বলেন ভিক্ষাবৃত্তি করে পেট চলে তার। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যের বাড়িতে গেলেও সংক্রমণের ভয়ে ভিক্ষা দিতে চাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। ত্রাণের আশায় কয়েক দফায় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি দিলেও তার কপালে জোটেনি কোনো খাদ্য সহায়তা।
একই গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মিয়া, ছালেহা বেগম, লিলি বেগমসহ আরও অনেকে বলেন রাতে খেলে সকালে কি খাব, এমন চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুজন সরকার বলেন, প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে গুচ্ছগ্রামে একজনকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আরও চারজনকে দেওয়ার প্রক্রিয়া রয়েছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়।