সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহের ক্লিনিকগুলোতে অবহেলা আর অপচিকিৎসা যেন থামছেই না। ঝিনাইদহের বিজ্ঞ আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে এক রুল জারির পর জেলার সমস্ত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে মাত্র সদর উপজেলার ক্লিনিকগুলোর তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এখনো বাকি রয়েছে ৫টি উপজেলার তদন্ত কার্যক্রম। আর এরই মাঝে ঘটল মারাত্মক এক অপচিকিৎসা।
এবার পেটের মধ্যে রক্ত পরিষ্কারের কাপড় রেখেই এক সিজারিয়ান রোগীর পেট সেলাই করেছেন। ডা. আনিছুর রহমান নামে কোটচাঁদপুর শহরের সিটি ক্লিনিকের এক চিকিৎসক এ ঘটনা ঘটান।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামের পিকুলের সন্তানসম্ভবা মেয়ে রুনা খাতুন সিজারের জন্য ভর্তি হয় কোটচাঁদপুর শহরের সিটি ক্লিনিকে। গত ২০শে মার্চ সেখানে সিজার করেন জীবননগরের (আদি বাড়ি মাগুরা) চিকিৎসক ডা. আনিছুর রহমান। সিজারের সময় রোগীর পেটের মধ্যে মফস রেখে সেলাই করা হয়।
রোগীর খালু বাবু মিয়া জানান, কিছুদিন পর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ঝিনাইদহ শহরের সমতা ক্লিনিকে ডা. সোহেল আহম্মদের দিয়ে আলট্রাসনো করা হয়। রিপোর্টে পেটের মধ্যে কাপড়ের অস্তিত্ব মেলে।
দ্রুত রুনা খাতুনকে শহরের হামদহ এলাকার আল-আমিন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২৮শে মার্চ রোগীকে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করেন ডা. জাহিদ।
উল্লেখ্য, কোট চাঁদপুরের সিটি ক্লিনিক সিভিল সার্জন অফিসের বন্ধ তালিকায় থাকলেও রহস্যজনক কারণে তা আবার চালু করা হয়েছে।