শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের পশ্চিম রামজীবন গ্রামে বিয়ের দাবিতে ২০ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে বিদেশ ফেরত এক তরুণী। জানা যায়, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের পশ্চিম রামজীবন গ্রামের জহির উদ্দিনের সৌদি প্রবাসী পুত্র আশরাফুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার জর্ডান প্রবাসী মেয়ে বিলকিছ আক্তারের ফেসবুকের মাধ্যমে দেড় বছর পূর্বে প্রেমের স¤পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনের গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নে হওয়ায় আশরাফুলইসলাম বিলকিছ আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিলকিছ আক্তার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় উভয় পক্ষের অভিভাবকেরাও এতে সম্মতি জানান। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হলে বিলকিছ আক্তার জর্ডান থেকে কয়েক দফায় ৬ লক্ষাধিক টাকা আশরাফুলের পরিবারকে পাঠান । প্রেমিক-প্রেমিকা বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করে অভিভাবকদের জানিয়ে গত ১২ আগস্ট দু’জনই দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর প্রেমিক আশরাফুল বিয়ের দিন-তারিখ অস্বীকার করে প্রত্যাখ্যান করলে প্রেমিকাকে বিলকিছ টাকা ও মানসম্মান হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি প্রেমিক আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে গত ২২ আগস্ট অবস্থান নেন। ঘটনাটি টক অব দ্য সুন্দরগঞ্জে পরিণত হলে এলাকাবাসী গত ২৪ আগস্ট ইউপি সদস্য সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে সালিশে বসেন। প্রেমিক-প্রেমিকার উপস্থিতিতে সালিশে ৫ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক করে মেয়ে পক্ষের লোকজন বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকলে ছেলে পক্ষ সালিশের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আশরাফুল ইসলামকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়ে ঐ রাতেই কয়েকজন যুবক প্রেমিকার ঘরে ঢুকে তাকে অপহরণ ও তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে যুবকরা পালিয়ে যায়। পরদিন ২৫ আগস্ট দিন দুপুরে ছেলে পক্ষের ভাড়াটে কিছু যুবক প্রেমিকাকে আবারো অপহরণের চেষ্টা চালালে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও প্রেমিকা গ্রাম পুলিশের পাহারায় প্রেমিকের বাড়িতে ২০ দিন ধরে অবস্থান করছেন।এ ব্যাপারে রামজীবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে দুই পক্ষের কেউ ঘটনা জানায়নি। তবে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছেলে নিখোঁজ থাকায় কোনো সমাধান করা যাচ্ছে না। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত এসএম আব্দুস সোবহান বলেন,ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।